পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া ২০২৪

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া ২০২৪। আপনি কি জানেন? পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক পদ্ধতি সম্পর্কে। বা কিভাবে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করা হয়, কিভাবে ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করা হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহরে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া

আজকের আর্টিকেলে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে এবং ভিসা নাম্বার দিয়ে কিভাবে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করা যায় সেই পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে ভিসা চেক এর নিয়মগুলো যদি আপনার না জানা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পেজ সুচিপত্রঃ

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া

আজকে আমি মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করার সকল নিয়ম আপনারদের মাঝে আলোচনা করব। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অহরহ মানুষ মালয়েশিয়া যাচ্ছে। এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা করছে। এর মধ্যে অনেক মানুষ আবার দালালের খপ্পরে পড়ে চরম প্রতারণার সম্মুখীন হচ্ছে। এর একমাত্র কারণ হলো ভিসা চেক করে না যাওয়া। আমাদের মধ্যে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা আদৌ ভিসা চেক সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই। আর ভেসা চেক না করার কারণে প্রায়শই তারা অন্য দেশে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়। 

তবে এরূপ প্রতারণা সম্মুখীন যাতে না হতে হয় সেজন্য প্রথম করণীয় হচ্ছে ভিসার আবেদন করে ভিসা হাতে পাওয়ার পর পরই ভিসাটি চেক করে নেয়া। যদি ভিসা পাওয়ার পর ভিসাটি চেক করে নেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে আসলে ভিসাটি জাল ভিসা না অরিজিনাল ভিসা। ভিসা চেক করার পর যদি জাল ভিসা বা নকল ভিসা হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই তা বুঝতে পারবেন এবং চরম থেকে চরম প্রতারণার হাত থেকে বা বিপদের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। আর যাতে প্রতারণার হাত থেকে খুব সহজে বাঁচা যায় সেজন্য ভিসাটি চেক করা অবশ্যই দরকার। 

তবে এই ভিসা আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে চেক করতে পারবেন। ভিসা চেক আপনি কয়েক রকম পদ্ধতিতে করতে পারবেন। ভিসা চেক করার জন্য মালয়েশিয়ার ভিসা চেক এর ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে এরপর নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট নাম্বার সহ যে সকল তথ্যগুলো চাইবে সেগুলো দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন। অথবা মোবাইলের মাধ্যমে ভিসা চেক করা যায়। মোবাইলের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসা চেক অ্যাপ এটা লিখে সার্চ করে অ্যাপসটি ডাউনলোড নিন। 

এবার সেখানে পাসপোর্ট নাম্বার ও নিজের দেশ সিলেক্ট করে সার্চ দিলে আপনি আপনার ভিসাটি দেখতে পাবেন আসলে সেটি আসল ভিসা না নকল ভিসা। তাছাড়া আরও অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো আপনি অবলম্বন করতে পারেন।

মালয়েশিয়ার ওয়ার্কার ভিসা চেক

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অনেক মানুষ মালয়েশিয়া যাচ্ছে সরকার হিসেবে। এবং দালালের মাধ্যমে অনেকে ভিসা নিয়ে থাকি। এই ঠকবাজ দালালরা ওয়ার্কার ভিসার নামে অনেক সময় জাল ভিসা অর্থাৎ ভ্রমণ ভিসা দিয়ে দেই যার মেয়াদ থাকতে পারে ২০ দিন থেকে এক মাস কোন কোন ক্ষেত্রে দুই মাস। এই ধরনের দালালের খপ্পরে পড়ে জাল ভিসা নিয়ে যারা অন্য দেশে যায় এবং সেই দেশে যাওয়ার পরে তাদেরকে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। এক সময় তারা চরম বিপদের সম্মুখীন হয়।

আরও পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২৪

তাই এরূপ বিপদের সম্মুখীন যাতে হতে না হয় সেজন্য ভিসা পাওয়ার পর অবশ্যই আপনার উচিত হবে ভিসাটি চেক করে নেয়া। তবে ভিসা চেক করার নিয়ম অনেকেরই জানা থাকে না বা জানে না? তাই আপনি যেন খুব সহজেই আপনার নিজের ভিসাটি চেক করে নিতে পারেন সেই পদ্ধতি সম্পর্কে এবং নিয়ম গুলো দেখানো হবে। এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বনের মাধ্যমে খুব সহজেই এবং দ্রুত আপনার ভিসাটি চেক করে নিতে পারবেন। নিচে মালয়েশিয়ার ওয়ার্কার ভিসা চেক করার পদ্ধতি গুলো দেখানো হলো।

  • Passport No: ভিসা চেক এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনুরূপ ফর্মটি পুরণ করতে হবে। যেখানে পাসপোর্ট নং লিখা আছে সেই জায়গায় আপনি আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি বসিয়ে দিবেন। লক্ষ রাখবেন আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি যেন সঠিক থাকে।
  • Country Name: এরপরে Country Name এর স্থানে বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন। অনেক সময় বাংলাদেশ সিলেক্ট থাকতে পারে। যদি সিলেক্ট না থাকে তাহলে পাশের আইকোনে ক্লিক করে বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন। 
  • Search: এরপর সার্চে ক্লিক করুন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন আসলেই আপনার ভিসাটি জাল বা নকল ভিসা না আসল ভিসা। তবে আপনি কোথাও না গিয়ে আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যেমও ভিসা েচেক অ্যাপ দিয়ে খুব সহজেই আপনার ভিসা চেক করে নিতে পারবেন। 

ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

আপনি কি জানেন ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন। সাধরণত এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য সেই দেশের অনুমতি নেওয়া লাগে। তবে সেই দেশের অনুমতি সাপেক্ষে ভিসা করা লাগে । কারণ, ভিসাই হলো এক দেশ থেকে আরেকটি দেশে যাওয়ার একমাত্র প্রমাণপত্র। ভিসা ছাড়া কোনো দেশে বৈধভাবে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না । তবে ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট করতে হবে এই পাসপোর্ট ও অন্যন্ন ডকুমেন দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

ভিসার আবেদনের পর ভিসাটি হাতে পাওয়া মাত্রই আপনার প্রথম করণীয় হলো ভিসার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিসাটি চেক করে নেওয়া। কারণ, আমরা সাধারণত কোনো দেশে যাওয়ার জন্য দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভিসা নিয়ে থাকি। কিন্তু অনেক ধূর্ত দালাল আছে যারা ভিসা দেওয়ার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে। আসল ভিসা দেওয়ার নামে ডুপ্লিকেট ভিসা বা সফর ভিসা দিয়ে দেয়। এবং পরবর্তীতে ঐদেশে গিয়ে চরম বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় সেই দেশে আপনাকে অবৈধ হিসেবে গ্রেফতারও করতে পারে।

ভিসা নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া

তাই এরূপ বিপদের সম্মুখীন যেন না হতে হয় সেজন্য আপনার ভিসা হাতে পাওয়ার পর ভিসাটি চেক করে নেওয়া। তবে ভিসা চেক করার জন্য আপনার কাঙ্খিত দেশের ওযেবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।এরপর আপনার ভিসার কাগজে থাকা ভিসা নাম্বারটি দিয়ে এবং দেশ সিলেক্ট করে সার্চ করলেই দেখতে পাবেন আপনার ভিসাটি কোন পর্যায়ের জন্য বৈধ, ভিসার বৈধতা বা সত্যতা ও আরও অনেক তথ্য আপনি দেখতে পারবেন।

ই ভিসা চেক মালয়েশিয়া

এ ভিসা মানে হলো ইলেকট্রনিক্স ভিসা। আপনি যদি একটি মালয়েশিয়ার ই ভিসার আবেদন করে থাকেন এবং ইতিমধ্যে ভিসাটি পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভিসাটি চেক করে নেয়া উচিত। তবে ভিসাটি আপনি মালয়েশিয়ার ওয়েবসােইটে গিয়ে চেক করতে পারবেন। অথবা আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন। তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অ্যাপস দিয়ে কিভাবে ভিসা চেক করবেন সেটা আমি নিজে দেখিয়ে দিচ্ছি। সে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে খুব সহজে আপনি আপনার ভিসাটি চেক করতে পারবেন।

উপরে এরো চিহ্ন দিয়ে দেখানো ওয়ার্কার ভিসা চেক মালয়েশিয়া এটা লিখে সার্চ করার পরে, ভিসা চেক  আর টি কে অনলাইন ইনকয়ারি এই অ্যাপসটি আসবে তারপরে ওপেন লেখা আছে ওপেনের জায়গায় ইনস্টল লেখা থাকবে ইন্সটল এ ক্লিক করে অ্যাপসটি ইন্সটল করবেন। ইনস্টল করার পর ওপেন বাটনে ক্লিক করলে অ্যাপস এর ভেতরে নিয়ে যাবে এবং অনেকগুলো ভিসা চেক পদ্ধতি থাকবে। তবে আপনার ভিসাটি যদি ই ভিসা হয় তাহলে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা চেক অনলাইন অপশন এ ক্লিক করলে VERIFY YOUR eVISA NOW এই অপশন দেখাবে। সেখানে থাকবে।

  • Passport Number
  • Striker Number 
  • Google capctha
  • Refresh image
  • I have obtained my eVISA
  • Reset Or check
  • Passport Number: Passport Number: এর জায়গায় আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি বসিয়ে দিন। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্য রাখবেন আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি যেন ভুল না হয়। কারণ, ভুল পাস পাসপোর্ট নাম্বার বসালে আসবেনা। সেজন্য পাসপোর্ট নাম্বারটি সঠিকভাবে বসিয়ে দিন।
  • Striker Number: এরপর স্টিকার এর জায়গায় স্টিকার নাম্বারটি বসিয়ে দিন। স্টিকার নাম্বারটি আপনার ভিসা কাগজের উপরে দেয়া থাকবে সেখান থেকে আপনি স্টিকার নাম্বার নিয়ে নিতে পারেন।
  • Google capctha: আপনি মানুষ না রোবট এটা পরীক্ষা করার জন্য একটি গুগল কেপচার থাকবে ক্যাপচার ইমেজে যেভাবে লেখা থাকবে হুবহু সেইভাবে Answer এর স্থানে বসিয়ে দিন।
  • Refresh image: যদি google খ্যাপচাটি ভালোভাবে বোঝা না যায় বা বুঝতে না পারেন তাহলে Refresh image এ ক্লিক করলে আরো একটি নতুন ক্যাপচা আসবে সেই ক্যাপচাটি বসিয়ে দিন।
  • I have obtained my eVISA: এরপর I have obtained my eVISA এই লেখার পাশে একটি বক্স থাকবে সেই বক্সে টিক দিন।
  • RESET Or CHECK: এরপর RESET Or CHECK অপশন থাকবে তো আপনি যেহেতু ভিসা চেক করবেন সেহেতু CHECK ক্লিক করবেন। CHECK এ ক্লিক করার পরেই আপনি আপনার ভিসাটি দেখে নিতে পারবেন আপনার ভিসাটি তৈরি হয়ে গিয়েছে কিনা। যদি আপনার ভিসাটি অরিজিনাল হয় তাহলে সেখানে আপনার নাম, ভিসা নাম্বার, ভিসার ধরন, ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় দেখাতে পারে। 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং ভিসা চেক

কলিং ভিসা মানে হল ম্যানুফ্যাকচারিং কথা কোন ফ্যাক্টরির কাজে অথবা কোন কনস্ট্রাকশনের কাজে কিংবা পার্টেশনের কাজে ও আরো অন্যান্য কাজ আছে সেগুলো করতে পারবেন। কলিং ভিসা মূলত গ্রুপ আকারে হয়ে থাকে। তবে যদি আপনি কলিং ভিসার আবেদন করে থাকেন এবং ভিসাটি পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভিসাটি সাথে সাথে চেক করে নিন। কেননা কিছু দালাল চক্র আছে যারা নকল ভিসা দিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে একটু বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

আরও পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সে ক্ষেত্রে আপনার যেন কোন সমস্যা বা বিপদের সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য আপনার ভিসাটি চেক করে সত্যতা যাচাই করে নিন। এই ভিসা আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন অথবা মোবাইলের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন। তবে মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আমি নিচে দেখিয়ে দেব। আপনি সেই নিয়ম অবলম্বন করে আপনার ভিসাটি চেক করে নিতে পারেন।

  • আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে মালয়েশিয়া ফরেনার ওয়ার্কার লিখে সার্চ দিলে কাঙ্খিত অ্যাপসটি চলে আসবে । তারপর এটা আপনি ইন্সটল করে নিন। 
  • এখানে ওপেন এর জায়গায় ইনস্টল লেখা থাকবে ইন্সটল এ ক্লিক করলেই অ্যাপসটি ইন্সটল হতে শুরু করবে। এবং ইন্সটল হয়ে যাওয়ার পর ওপেনে ক্লিক করুন।

  • ওপেনে টাচ করার পর ভিসা চেক ইউসিং পাসপোর্ট নাম্বার ও আরো অপশন থাকবে। তবে যেখানে এক নাম্বার অর্থাৎ ভিসা চেক ইউজিং পাসপোর্ট নাম্বার লেখা থাকবে সেখানে ক্লিক করলে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং দেশ সিলেক্ট করতে হবে তারপরে সার্চে ক্লিক করলেই আপনার কলিং ভিসার সকল ডকুমেন্ট চলে আসবে। 
  • সেখানে দেয়া থাকবে আপনার নাম, ভিসাটি কোন ধরনের, জন্ম তারিখ, ও আরো অন্যান্য তথ্য থাকবে। যদি এরূপ তথ্য আসে তাহলে বুঝবেন আপনার ভিসাটি আসল। আর যদি এরূপ তথ্য না আসে তাহলে বুঝবেন আপনার ভিসা টি ডুপ্লিকেট তথা জাল ভিসা।

মালয়েশিয়া ভিসা চেকapp

মালয়েশিয়া ভিসা চেক পদ্ধতি সম্পর্কে এই আর্টিকেলে উপরের অংশে আলোচনা করা হয়েছে। এবার আমরা দেখব কিভাবে অ্যাপস এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করা হয়। মালয়েশিয়ার ভিসা চেক অ্যাপস টি উপরের ই ভিসা চেক অপশনে দেওয়া আছে প্রথমে সেই অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিবেন। এবং অ্যাপটিতে প্রবেশ করার পর visa check online by passport এই অপশনে প্রবেশ করবে। এরপর নতুন আরো একটি দিকনির্দেশনা থাকবে যেখানে চাইবে আপনার Passport Number এবং Country Name দিতে হবে।এবং Search করলেই JABATN IMIGRATION MALYSHIA অর্থাৎ ভিসা চেক এর অপশনটি আসবে।

এই অপশনটি এখান থেকে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ভিসাটির সত্যতা। যদি সেখানে আপনার নাম, কোম্পানির নাম, আপনি কোনো ভিসা করেছন। ও আরও অনেক তথ্য দেখাবে যদি এই তথ্যগুলো দেখাই তাহলে আপনি মনে করবেন আপনার ভিসাটি সঠিক বা আসল ভিসা। আর যদি এই ধরনের তথ্য না আসে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন আপনার ভিসাটি জাল ভিসা। তবে যদি আপনি নিজের দেশে থেকে অন্য কোনো দেশে যান তাহলে আপনি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে আপনার ভিসাটি চেক করে নিন।

সকল দেশের ভিসা চেক অনলাইনে

আপনি হয়তো কোনো দেশে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেছেন এবং সেই দেশে যাওয়ার জন্য একটি ভিসার আবেদন করেছেন ইতিমধ্যে ভিসাটি পেয়েও গেছেন তৎক্ষনাত আপনার করণীয় হলো ভিসাটি চেক করা। কেন ভিসা চেক করবেন? ভিসা চেক করার কারণটি আপনার জানা উচিৎ। কারণ, আজকাল দালালের মাধ্যমে ভিসা করে বিদেশ গিয়ে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। এর কারণ কি জানেন?এর একমাত্র কারণ হলো জাল ভিসা। ভিসা পাওযার পর ভিসাটি চেক করে না যাওয়ার কারণে এরূপ প্রতারণার সম্মুখীন হতে হয়। 

তাই যদিি আপনি ভিসাটি চেক করে নেন তাহলে আপনি অনায়াসে দেখতে পাবেন যে আপনার ভিসাটি সঠিক হয়েছে কিনা। আর এই ভিসাটি আপনি কোথাও না গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যম চেক করতে পারবনে। তাছাড়া সকল দেশের ভিসা অনলাইনের মাধ্যমে চেক করা যায়। এর জন্য আপনার কাঙ্খিত দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এবং পাসপোর্ট নাম্বার অথবা ভিসা নাম্বার ও স্টিকার নাম্বার দিয়ে নিজের দেশ সিলেক্ট করে ভিসা চেক করা যায়।

মালয়েশিয়া ভিসা করতে যেসব কাগজপত্র লাগে

আপনি যদি কোনো দেশে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে সেই দেশে যাওয়ার জন্য আপনার একটি অনুমতি লাগবে। আর অনুমতি হিসেবে একটি ভিসা করতে হবে। কারণ, ভিসাই হলো আপনার কোনো দেশে যাওয়ার অনুমতি মাত্র। ভিসা ছাড়া আপনি কোনো দেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না। যদি ভিসা ছাড়া কোনো দেশে চলেও যান তাহলে আপনি অবৈধ বলে গণ্য হবেন। যার পরিনতি হতে পারে ভয়াবহ। আর ভিসা করতে যেসব কাগজ পত্র লাগে তা নিচে দেওয়া হলো।

  • আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্টের অন্তত দুইটি পৃষ্ঠ ফাঁকা থাকতে হবে
  • যদি পুরোনো পাসপোর্ট থাকে তাহলে সেটা জমা দিতে হবে
  • ২*২ সাইজের দুই কপি ছবি যা অন্য কোনো ভিসাই ব্যবহৃত হয়নি
  • মালয়েশিয়া ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ২১ থেকে ৪৫ বছর  এর মধ্যে হতে হবে
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর কপি
  • আপনি যেখানে বাস করেন তার একটি পমাণপত্র
  • বাড়ীর বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলের একটি প্রমাণপত্র
  •  ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন
  • আপনার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণপত্র
  • বিএইটি এর ডাটাবেজে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে
  • বিএমইটি বা কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন।

মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন ২০২৪

বর্তমান বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাচ্ছে। তবে আপনি যদি মালয়েশিয়ায় ওয়ার্কার ভিসাই বা টুরিস্ট ভিসা অথবা অন্য যেকোনো ভিসাই যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন তিনভাবে করা যায়। এর যে কোনো উপায় অবলম্বন করে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আপনি আবেদন করতে পারেন। আবেদনের উপায় গুলোর নিচে আলোচনা করা হলো।
  • BMET এর রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে
  • রিক্রয়েটিং এজেন্সির রেজিস্ট্রেমনের মাধ্যমে
  • Ami Probashi Apps এর মাধ্যমে 
BMET এর রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেঃ ভিসা আবেদন আপনি যেভাবেই করুন না কেন প্রথমে আপনাকে BMET এর মাধ্যমেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যদি কোনো অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে বা Ami Probashi Apps এর মাধ্যমে মারয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রেও তারা BMET এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইট থেকে ভিসার জন্য রেজিস্ট্রেশন কাজটি সম্পন্ন করবে। বর্তমান বাংলাদেশে ৪২ টি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও ১১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।

এর যেকোনো একটির সহায়তায় আপনি মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে যদি আপনি আপনার নিজ জেলার জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে যেসব নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো।
  • আপনার নতুন পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে অন্তত দুই বছর
  • সাদা ব্যাগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন কপি
  • আপনার কাজের অভিজ্ঞতার কপি
  • এবং আপনার কাজেন ধরন অনুযায়ী অন্যন্ন কাগজপত্র
এরপর যাচাই বাচাই শেষে আপনার সকল তথ্য গ্রহণযোগ্য হলে আপনার মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যটি পেতে আপনার মোবাইলের মেসেজ বক্স প্রতিনিয়ত চেক করবেন। 

রিক্রয়েটিং এজেন্সির রেজিস্ট্রেমনের মাধ্যমেঃ আপনি মালয়েশিয়ার যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সেটা প্রথমে মালয়েশিয়ান অফিসিয়াল ইমিগ্রেশন ওয়েবসাই থেকে আপনার কাঙ্খিত ভিসার আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে নিবেন। এরপর সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পুরণ করবেন। এরপর পুরণকৃত ফর্ম ও অন্যন্ন ডকুমেন্ট সহ ভিসা ফি প্রদান করে রিক্রয়েটিং এজেন্সির রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসাটি সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও মালয়েশিয়ান টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্কার ভিসা, ও অন্যন্ন ভিসার আবেদন এই ভাবেই করতে হয়।

Ami Probashi Apps এর মাধ্যমে ঃ Ami Probashi Apps এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদনের নতুন নিয়ম। Ami Probashi Apps এর মাধ্যমে েভিসার জন্য আবেদনের নিয়মাবলি নিচে দেওয়া হলো। 
  • প্রথমে আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে Google Play Store  এ যান এবং Ami Probashi Apps টি ইনিস্টল করুন
  • ইনিস্টল করার পর ওপেনে ক্লিক করে Ami Probashi Apps এর মাধ্যে প্রবেশ করুন
  • এরপর আপনার পাসপোর্ট ও অন্যন্ন ডকুমেন্ট স্ক্যান করে সকল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বিএমইটি এর রেজিস্ট্রেশন কাজ সম্পন্ন করুন
  • আপনার প্রদানকৃত তথ্য যাচাই বাচাই করণের জন্য ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিন সময় নিবে।
  • যাচাই বাচাই করণ প্রকৃয়া কাজটি সম্পন্ন হলে বিকাশ অথবা যেকোনো মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফি প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন কাজটি সম্পন্ন করুন
  • এরপর আপনার কাঙ্খিত চাকরি খোঁজার জন্য Ami Probashi Apps এর লগইন থাকতে হবে। এবং চাকরি খুঁজুন এ গিয়ে বিজ্ঞাপন অনুযায়ী চাকুরির জন্য আবেদন করে সাবমিট করুন
  • আপনার আবেদন করা চাকুরিটি গ্রহণযোগ্য হলে আপনার মোবাইলে Ami Probashi Apps এ এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • এই তথ্যগুলো সঠিক সময় পেতে Ami Probashi Apps এর মেজেস বক্স প্রতিনিয়ত চেক করুন।

কেন ভিসা চেক করবেন জেনে নিন

আজকাল বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিদেশ যাওয়া শুরু করেছে। তবে অন্যন্ন দেশের চেয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার সংখ্যা বেশি। আর প্রায় বেশিরভাগ মানুষই দালাল এর মাধ্যমে বিদেশ যায়। দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার কারণে অনেক মানুষ প্রতারিতও হচ্ছে। এর একমাত্র কারণ হলো ভিসা চেক না করা। দেখুন, আমরা টাকার বিনিময়ে দালালের কাছ থেকে ভিসা নিয়ে থাকি। কিন্তু ভিসা পাওয়ার পর আসলেই ভিসাটি অরিজিনাল ভিসা না ডুপ্লিকেট ভিসা সেটা আমরা চেক করিনা। আর ভিসা চেক না করে বিদেশে যাওয়ার পর আমরা একটা বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হয়। 

তবে আপনার উদ্দেশ্যে বলি, আপনি যদি নিজের দেশে থেকে বাইরের কোনো দেশ বা মালয়েশিয়ায় যেতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি ভিসা করতে হবে। অথবা আপনি যদি ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন বা আবেদনের পর ভিসাটি পেয়ে থাকেন তাহলে তৎক্ষনাত আপনার উচিৎ হবে ভিসাটি চেক করে নেওয়া। যদি আপনি ভিসাটি চেক করে নেন তাহলে আপনি  ‍বুঝতে পারবেন যে আপনার ভিসাটি সঠিক কিনা। এবং বাইরের কোনো দেশে গিয়ে অন্যদের মত বিপদেও পড়বেন না। 

মালয়েশিয়া ভিসার প্রকারভেদ

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা আছে। আপনার ভিসার ধরণ নির্ভর করে আপনি মালয়েশিয়াতে কোন কাজে যেতে চান তার ওপর। তবে মালয়েশিয়া ভিসার ধরণগুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে মালয়েশিয়া ভিসা কত প্রকার তা জেনে নিতে পারবেন। মালয়েশিয়া ভিসা কত প্রকার নিচে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
  • মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসা
  • মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা
  • মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা
  • মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা
  • মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসা
মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসাঃ মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসা প্রদান করা হয় মালয়েশিয়াতে কর্মী হিসেবে বা কোনো কোম্পানিতে চাকুরির জন্য। মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসার মেয়াদ থাকে ১ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসাঃ এই ভিসা মালয়েশিয়া ভ্রুমণের জন্য বা কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসার মেয়াদ থাকে ৩০ দিন যা গড়ে ১ মাস।

মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসাঃ মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা প্রদান করা হয় মালয়েশিয়াতে ব্যবসয়ীক কোনো কারণে, চিকিৎসার জন্য বা ব্যক্তিগত ভ্রুমণের জন্য। মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা১ মাস থেকে ২ মাস বা গড়ে ৬০ দিন মেয়াদ থাকে।

মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসাঃ উচ্চ শিক্ষাই শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়াতে লেখাপড়ার জন্য মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান করা হয়। মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ ১ থেকে ৩ বছর।

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসাঃ মালয়েশিয়াতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসারও মেয়াদ থাকে ১ বছর থেকে ৩ বছর । তবে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব।

মালয়েশিয়া ভিসা করতে কত টাক খরচ হয় জেনে নিন

মালয়েশিয়া ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় এই প্রশ্ন আমরা অনেকেই করে থাকি। আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান বা যাওয়ার ইচ্ছা করেন সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই জানা দরকার যে, ভিসা করে মালয়েশিয়া যেতে সর্বমোট কতটাকা খরচ হতে পারে। দেখুন, আপনি যদি সরকারি ভাবে মালয়েশিয়া যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা মত খরচ হতে পারে। 

আর আপনি যদি বেসরকারিভাবে অর্থাৎ দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে আপনার খরচ ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ ৫০,০০০ হাজার টাকা মত খরচ হবে। এবং যদি আপনি বেসরকারিভাবে টুরিস্ট ভিসাই যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৫০,০০০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০,০০০ হাজার টাকা মত। এবং টুরিস্ট ভিসার প্রসেসিং ফি ৫ হাজার ৮০০ টাকা।

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার নিয়ম ও সর্তকতা

মালয়েশিয়া ভিসার জন্য অনেকেই আবেদন করে থাকি। কিন্তু ভিসার আবেদনটি সঠিক হয়েছে কিনা তা অনেকেই চেক করতে পারেনা। কিভাবে মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন চেক করতে হয় তার নিয়ম গুলি নিচে দেওয়া হলো। আপনারা সেই নিয়ম অনুযায়ী মালয়েশিয়া ভিসার আবেদনটি চেক করে নিতে পারবেন। তবে মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন চেক করার সময় অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করা উচিৎ।

মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন চেক করার নিয়ম
  • মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন চেক করতে প্রথমে আপনার যা প্রয়োজন তা হলো আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং ভিসা আবেদনের নাম্বার 
  • এরপর ভিসা আবেদন করার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট //eservices.imi.gov.my//myimms/PRAstatus?lang=en  এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • এরপর Visa Application Status বাটনে ক্লিক করতে হবে
  • এরপর আপনার পাসপোর্ট নাম্বার ও ভিসা আবেদনের নাম্বারটি বসিয়ে দিন
  • এরপর SUBMIT বাটন দেওয়া থাকবে সেখানে ক্লিক করুন
  • SUBMIT করার পর আপনার ভিসা আবেদনের স্ট্যাটাসটি দেখানো হবে
  • যদি কোনো কারণবসত আপনার ভিসার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে তার কারণটি উল্লেখ করে দেওয়া হবে।
সর্তকতাঃ১। ভিসার আবেদন চেক করার সময় অবশ্যই আপনাকে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিৎ। কারণ, ভিসার আবেদন চেক করার সময় আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং ভিসা আবেনের নাম্বারটি যদি সঠিকভাবে বসানো না হয়। তাহলে আপনার সামনে ভিসা আবেদনের স্ট্যাটাসটি আসবেনা।
সর্তকতাঃ২। ভিসার আবেদনের পর ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
সর্তকতাঃ৩। আপনার ভিসার আবেদনের পর যদি কোনো কারণ বসত ভিসাটি প্রত্যক্ষান করা হয় তাহলে যে কারণে করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো বুঝতে হবে।
সর্তকতাঃ৪। আপনার ভিসা আবেদনের সময় যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসের সাহায্য নিতে পারেন।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ও ভিজিট ভিসা করতে যা যা লাগে

আপনি যদি মালয়েশিয়ায় ভ্রুমণের জন্য বা কোনো ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া যাওয়ার ইচ্ছা করেন তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ভিসার প্রয়োজন হবে। এর জন্য আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে ভিসার আবেদনের জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। মালয়েশিয়া ও টুরিস্ট ভিজিট ভিসার আবেদন করতে সেব কাগজপত্র লাগে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • আপনার একটি নতুন ও বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকা লাগবে
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাদা ব্যাগ্রাউন্ড ধাকতে হবে
  • আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ডের কপি
  • বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন
  • ইয়ার রিটার্ন কপি
  • হোটেল বুকিং
  • যদি পূর্বে মালয়েশিয়া  গিয়ে থাকেন তাহলে তার কপি

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসার ফি কত

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে কলিং ভিসাই অনেক মানুষ যাচ্ছে। এবং তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। তবে আপনি যদি মালয়েশিতে কলিং ভিসাই কর্মী হিসেবে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই কলিং ভিসার ফি কত তা জানা দরকার। কলিং ভিসার ফি মূলত সকলের ক্ষেত্রে ৫০০ মার্কিন ডলার, আর বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ৪০০ মার্কিন ডলার, এবং স্টুডেন্ট বা ছাত্রদের জন্য ৩০০ মার্কিন ডলার। তবে আপনি মালয়েশিয়াতে যে জন্য যেতে চান তার ওপর নির্ভর করে কলিং ভিসার ফি।

লেখকের শেষ কথা

এই আর্টিকেলের উপরের অংশে এতক্ষণ আমরা পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া ২০২৪ এর সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যেমন-পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কিভাবে ভিসা চেক করতে হয়, কিভাবে কলিং ভিসা চেক করতে হয় ,ই ভিসা চেক করার নিয়ম, এবং কিভাবে অ্যাপস এর মাধ্যমে ভিসা চেক করতে হয় ইত্যাদি। আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে যদি কাজ করেন তাহলে আপনার ভিসাটি আপনি খুব সহজেই চেক করে নিতে পারবেন।

এতক্ষণ আমাদের এই আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য, এবং এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভিসা সংক্রান্ত আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। আর এ আর্টিকেলে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই নিচের কমেন্ট বক্স থেকে কমেন্ট করে জানাবেন। পরবর্তীতে আমরা তা সংশোধন করার চেষ্টা করব। আমরা আপনার মূল্যবান কমেন্টের উত্তর দিতে কোন ধরনের দ্বিধাবোধ করব না।











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url