চাল কুমড়া খাওয়ার ১৭টি গোপন উপকারিতা ও অপকারিতা

চাল কুমড়া খাওয়ার ১৭টি গোপন উপকারীতা ও অপকারীতা। আপনার যদি চাল কুমড়ার উপকারীতা ‍ও অপকারীতা এবং এর পুষ্টিগুন গুলো জানা না থাকে? তাহলে মনে করুন আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। চাল কুমড়া একটি অবহেলিত সবজি হলেও এর মধ্যে পুষ্টি রয়েছে ব্যাপক তা অনেক মানুষের অজানা। তবে আজকে আমরা এর সকল বিষয় আলোচনা করব।

চাল কুমড়া খাওয়ার উপকারীতা ও অপকারীতা

আজকের এই আর্টিকেল আমরা চাল কুমড়া বা জালি কুমড়ার উপকারীতা ও অপকারীতা এবং চাল কুমড়া খাওয়ার ‍নিয়ম, ও চাল কুমড়ার মোরব্বা তৈরীর ‍নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। আপনার যদি এই বিষয়ে জানা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

পেজ সুচিপত্রঃ

চাল কুমড়ার ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ

চাল কুমড়া বা জালি কুমড়াকে একটি অবহেলিত সবজি বলা হলেও এর কিন্তু অনেক উপকারীতা রয়েছে তা মানুষের জানা থাকলেও অনেক মানুষের অজানা। আবার অনেকেই চাল কুমড়া খেতে পছন্দ করলেও বেশির ভাগ মানুষই এটাকে নিম্ন মানের সবজি মনে করে খাইনা। কিন্তু যদি এই চাল কুমড়া বা জালি কুমড়ার উপকারীতা সম্পর্কে জানা থাকতো তাহলে তারা তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চাল কুমড়াকে প্রিয় খাবার হিসেবে রেখে দিত। তাই আপনারা যেন চাল কুমড়ার উপকারীতা সম্পর্কে জানতে পারেন। 

সেজন্য আজকের আর্টিকেলে আমরা চাল কুমড়া বা জালি কুমড়ার উপকারীতা এবং এর মধ্যে কোনো ক্ষতিকর দিক আছে কিনা এবং এর পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করব। তবে জানার জন্য আপনাকে আর্টিকেলটি অবশ্যই ভালো করে পড়তে হবে। চাল কুমড়ার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন- ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম. ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, শর্করা, জিংক, লৌহ, আমিষ, খাদ্যশক্তি, ফসফরাস,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, আঁশ বা ফাইবার, চর্বি ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ লালশাকের ১৫টি উপকারীতা ও অপকারীতা-গর্ভাবস্থায় লালশাক খাওয়ার উপকারীতা

এর প্রত্যেকটি উপাদানই যেমন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। তেমনি ভাবে এগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারীতাও বহন করে। আমাদের শরীর সুস্থ্য রাখতে প্রতিটি ভিটামিনই প্রয়োজন। এর মধ্যে যেকোনো একটি ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে শরীরে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। সেজন্য আমাদের প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ। আর এই পুষ্টিগুলোর ঘাটতি পুরণ করতে পারে চাল কুমড়া বা জালি কুমড়া। প্রতিদিন চাল কুমড়া খাওয়ার ফলে শরীরের দ্রুত বৃদ্ধি সাধন হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

এবং শরীরকে চাঙ্গা ও ঠান্ডা রাখে, মস্তিষ্ক ভালো থাকে, প্রসাবের জালা পোড়া দুর হয়, হার্ট ভালো থাকে, যক্ষা ভালো হয়ে যায়, ওজন ও মেদ কমে। তাই আপনার শরীরকে সুস্থ্য রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্যন্ন খাবারের পাশাপাশি সবজি হিসেবে চাল কুমড়া বা জালি কুমড়া রেখে দিন।

চাল কুমড়ার ১৫টি গোপণ উপকারীতা

আমরা চাল কুমড়া অনেকেই খেয়ে থাকি। কিন্তু চাল কুমড়া বা জালি কুমড়ার মধ্যে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় এবং চাল কুমড়ার মধ্যে কোন অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক আছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের অনেকের অজানা। তাই চাল কুমড়া খাওয়ার আগে চালকুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কুমড়ার মধ্যে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ এছাড়াও চাল কুমড়ার কচি ডগা ও পাতা শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায় এই শাকের মধ্যেও অনেক ভিটামিন রয়েছে।

এছাড়াও চাল কুমড়ার পায়েস, মোরব্বা, ও অবহেল তৈরি করে খাওয়া যায়। যদি আপনি চাল কুমড়া তৈরি অবহেল নিয়মিত কিছুদিন যাবৎ খেতে পারেন তাহলে আপনার চেহারায় এক ধরনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা গুলো যেমন প্রসবের সময় জ্বালাপোড়া করা, বাদ ব্যথা, সর্দি, কাশি ঠান্ডা জ্বর এর মত আরো অনেক সমস্যা থাকলে সেগুলো দূর হয়ে যায়। তাই এই জালি কুমড়ার মধ্যে এতগুলো পুষ্টিগুণ উপস্থিত থাকায় নিয়মিত আমাদের জালি কুমড়া খাওয়া উচিত। জালি বা চাল কুমড়ার ১৭ টি উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।

  • শরীরের রোগ প্রতিরোধে
  • চোখের জ্যোতি বাড়াতে
  • পেটের ব্যথা দূর করতে
  • শরীরকে চাঙ্গা করতে
  • শরীরের শক্তি বাড়াতে
  • গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে
  • জন্ডিস ভালো হয়
  • বুকের কফ দূর করতে
  • মস্তিষ্কের সকল রোগ দূর করে
  • হাড় ক্ষয় রোধে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
  • চিরতরে কৃমি দূর করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর করতে
  • বাত ব্যথা থেকে মুক্তি
  • হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে
  • শরীরে রক্ত তৈরি করে

শরীরের রোগ প্রতিরোধেঃ জালি কুমড়া বা চাল কুমড়ায় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, পাওয়া যায়। তাছাড়া চাল কুমড়ায় এমন কিছু এন্টিঅক্সিডেন্ট বা রোগ প্রতিরোধ কারী উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। শরীরকে সুস্থ রাখতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো একান্তই প্রয়োজন। কারণ শরীরের যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকে তাহলে শরীর কখনো সুস্থ থাকে না। এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় রোগে আক্রমণ করে। যার ফলে শরীর একসময় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে যায়। 

এবং মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ে। সেজন্য আমাদের শরীর যাতে বড় বড় ধরনের রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারে, এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন আমাদের ভিটামিন যুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত আর এ ধরনের ভিটামিন আমরা পেতে পারি জালি কুমড়া বা চাল কুমড়া থেকে। তাই চাল কুমড়া পুষ্টিগুণ পেতে আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত চাল কুমড়া রাখা উচিত।

চোখের জ্যোতি বাড়াতেঃ অনেকের দেখা যায় চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে শরীরে ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন বি ২, এর অভাব। শরীরে যখন ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন বি ২ এর অভাব হয় তখন চোখের জ্যোতি শক্তি কমে যায় এবং চোখে ঝাপসা ভাব দেখা দেয়। তাছাড়া ভিটামিন এ, এর অভাবে রাতকানা রোগও হতে পারে। তাই চোখের জ্যোতি শক্তি বা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমাদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি টু যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

সে ক্ষেত্রে আমরা প্রতিনিয়ত জালি কুমড়া খেতে পারি। কারণ জালি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি টু পাওয়া যায়। তাছাড় জালি কুমড়া বা চাল কুমড়ায় এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের রেটিনার স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে।

পেটের ব্যথা দূর করতেঃ পেটের ব্যথা দূর করতে জালি কুমড়া একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি পেটের ব্যাথা থাকে তাহলে জালি কুমড়ার রস বের করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে পেটে মালিশ করলে পেটের ব্যথা উপশম হবে। তাছাড়া জালি কুমড়ায় এমন কিছু এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট রয়েছে যা পেটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। অথবা পেটের ব্যথা দূর করার জন্য জালি কুমড়ার শ্বাস শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে চূর্ণ করে এই চূর্ণ যদি হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের ব্যথা দূর হয়ে যাবে আশা করা যায়।

শরীরকে চাঙ্গা করতেঃ যদি আপনার শরীরকে চাঙ্গা রাখতে চান তাহলে নিয়মিত জালি কুমড়া বা চাল কুমড়া খান। এই চাল কুমড়া আপনি রান্না করে খেতে পারেন অথবা চাল কুমড়ার মোরব্বা পায়েস হালুয়া ও অবহেল তৈরি করে খেতে পারেন। অথবা চাল কুমড়ার লাড্ডু বানিয়ে খেতে পারেন। চালকুমড়ার তৈরি লাড্ডু খেলে আপনার শরীরে ক্লান্তি আসবে না শরীর চাঙ্গা থাকবে। লাড্ডু বানানোর জন্য চালকুমড়ার খোসা ও বীজ ফেলে দিন এরপর এর শ্বাস ভালোভাবে পিষে ঘিতে ভিজে চিনি মিশিয়ে লাড্ডু তৈরি করতে পারেন। এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে।

শরীরের শক্তি বাড়াতেঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরে শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনি চালকুমড়া খেতে পারেন। শরীরে শক্তি বাড়ানো সকলেরই প্রয়োজন, তবে আমরা যারা দিনমজুর আছি তাদের ক্ষেত্রে শরীরের শক্তি বাড়ানোটা আরো বেশি প্রয়োজন। কেন না যদি শরীরে শক্তি কমে যায় তাহলে কাজ করতে পারবেন না। কাজের প্রতি এক প্রকার অনীহা দেখা দেয়। তার শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনি চালকুমড়া রান্না করে অথবা এর তৈরি পায়ে হালুয়া ও লাড্ডু তৈরি করে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরে জন্য উপকারিতা বেয়ে আনবে এবং আপনার শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রেঃ গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় চালকুমড়া খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চাল কুমড়ায় যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায় সেহেতু যদি কোন গর্ভবতী মা গর্ভাবস্থায় জালি কুমড়া বা চাল কুমড়া খেতে পারেন। তাহলে সেটি যেমন তার শরীরের জন্য উপকারী হবে। তেমন তার পেটে থাকা সন্তানের জন্য অনেক পুষ্টির যোগান দিবে। এবং শিশুর দেহের গঠন এবং মস্তিষ্কে ব্রেনের বিকাশে সাহায্য করবে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের উচিত নিয়মিত চাল কুমড়া খাওয়া।

জন্ডিস ভালো হয়ঃ আমরা জন্ডিস ভালো করার জন্য কি না করে থাকি এবং কত ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। এরপরেও জন্ডিস ভালো হয় না। তাই জন্ডিস ভালো করতে চালকুমড়া খেতে পারেন। কচি চাল কুমড়া রান্না করে খেলেও জন্ডিস ভালো হয়। অথবা চালকুমড়া টুকরো টুকরো করে কেটে রোধে শুকিয়ে চূর্ণ করে এই চূর্ণ পানি দিয়ে খেলেও জন্ডিস রোগ তাড়াতাড়ি সেরে যায়। জন্ডিস রোগ সারানোর জন্য চাল কুমড়া একটি সস্তা ওষুধ বলা যায়।

বুকের কফ দূর করতেঃ অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বুকের ভেতরে কফ জমে থাকতে এবং কাশির সঙ্গে রক্ত বের হতে। তবে বুকের কফ দূর করতে আপনি চালকুমড়া খেতে পারেন। যদি চাল কুমড়ার শ্বাস থেকে রস বের করে দুই থেকে তিন চামচ পরিমাণ রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে তার সঙ্গে যদি বাসক পাতার রস মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে আপনার বুকের কফ, সর্দি কাশি, ও কাশির সঙ্গে বা কফের সঙ্গে রক্ত ওঠা এ ধরনের সমস্যা থাকলে দূর হয়ে যাবে আশা করা যায়।

মস্তিষ্কের সকল রোগ দূর করেঃ আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের অল্পতেই মাথা গরম হয়ে যায়, অতিরিক্ত টেনশনের কারণে চোখের ঘুম কমে যায়, উন্মাদনার সৃষ্টি হয়, এই সমস্যা থেকে থাকলে নিয়মিত জালি কুমড়া বা চাল কুমড়া খাওয়া। এক্ষেত্রে চালকুমড়া অনেক উপকারী। এছাড়াও যাদের কোন কিছু মনে থাকে না অল্পতেই সক কিছু ভুলে যায়। এ ধরনের সমস্যা দূর করতে চাল কুমড়ার বীজের শাঁস বের করে শুকিয়ে চূর্ণ করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

হাড় ক্ষয় রোধেঃ শরীরের হাড় ক্ষয়ে যাওয়া এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি। শরীরে হাড় ক্ষয়ে গেলে অনেক ব্যথা হতে পারে এবং হাঁটাচলা ওঠা-বসায় প্রচুর পরিমাণে সমস্যা হয়। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে ক্যালসিয়ামের অভাব। শরীরে যখন ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয় তখন বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি শরীরের হাড় ক্ষয়ে যায়। তাই হাড় ক্ষয় পূরণে চাল কুমড়া খাওয়া যায়। 

কারণ চাল কুমড়া প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। নিয়মিত চাল কুমড়া খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দিবে। এবং এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে অতএব প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবে চালকুমড়া রেখে দিন এটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

চাল কুমড়া খাওয়ার উপকারীতা ও অপকারীতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ সাধারণত ডায়াবেটিস কে সাধারণ রোগ হিসেবে ধরা যায় এখন প্রায় অনেক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় ডায়াবেটিস হতে। আর এই ডায়াবেটিস দূর করার জন্য আমরা কতই না কিছু করে থাকি এবং কত ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকে পাশাপাশি ডায়েট কন্ট্রোল করে থাকি। কিন্তু কোন কিছুতেই ডায়াবেটিস দূর করতে পারে না। তাই ডায়াবেটিস দূর করতে নিয়মিত চাল কুমড়া খান। চালকুমড়া বা জালি কুমড়া আপনার শরীরে রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

চিরতরে কৃমি দূর করেঃ কৃমি রোগ দূর করার ক্ষেত্রে চাল কুমড়া খাওয়া অনেক ভালো এবং এটি এক ধরনের ওষুধের কাজ করে। যখন পেটের ভিতর কৃমি বেড়ে যায় তখন অসহ্য ধরনের এত ব্যথা হয় । এই কৃমি দূর করতে আমরা অনেক কিছু করে থাকি এবং অনেক ধরনের ওষুধ খায়। তারপরেও ভালো হয় না। তাই যদি আপনার কৃমির রোগ থাকে এবং কৃমি রোগ দূর করতে চান। তাহলে, ২ গ্রাম পরিমাণ চালকুমড়ার শ্বাস বের করে বেটে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার কৃমি রোগ দূর হয়ে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর করতেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য একটি মারাত্মক ব্যাধি। এই কোষ্ঠকাঠিন্য উৎপন্ন হয় অতিরিক্ত পরিমাণে বহুদিন যাবত প্রসাবে চাপ ও পায়খানা চাপ আটকে রাখা হলে একসময় কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হয়ে যায়। ছাড়া প্রসাবে জ্বালাপোড়া ও পায়খানা কষে যায়। আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য  যদি একবার তৈরি হয়ে যায় তাহলে এটা আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ লাউশাকের ১৩টি কার্যকরী উপকারীতা ও অপকারীতা- গর্ভাবস্থায় লাউশাক খাওয়ার উপকারীতা

আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক দিন থাকার ফলে আপনার মলত্যাগের স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। তাই যেন এই মারাত্মক ব্যাধিতে আপনি না ভোগেন সেজন্য আপনার নিয়মিত চাল কুমড়া খাওয়া উচিত। কারণ, চাল কুমড়া খাওয়ার ফলে আপনার হজম ক্ষমতা বেড়ে যাবে। আর হজম ক্ষমতা বাড়ার কারণে পেট ফাঁপা পায়খানা কোসে যাওয়া এবং প্রসবের জ্বালাপোড়া এই ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

বাত ব্যথা থেকে মুক্তিঃ অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বাত ব্যথার মতো সমস্যাই ভুগতে। বাত ব্যথার কারণে অসহ্য ধরনের যন্ত্রণা বা ব্যথা হয়। বাত ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে চাল কুমড়ার গুণাগুণ রয়েছে অনেক। নিয়মিত চাল কুমড়া খাওয়ার ফলে বাত ব্যথার মত ভয়ংকর রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বাত ব্যথা দূর করতে চাল কুমড়া টুকরো টুকরো করে কেটে রান্না করে খেতে পারে। এতে আপনার বাত ব্যথা দূর করতে অনেক উপকারে দিবে।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখতেঃ হৃদপিন্ড ভালো রাখতে আমরা অনেক কিছু করে থাকি। তবে হৃদপিণ্ড ভালো রাখার জন্য নিয়মিত চাল কুমড়া খান। চালকুমড়া আপনার হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করবে। হৃদপিন্ড ভালো রাখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চাল কুমড়ার হালুয়া খাওয়া অনেক ভালো। চাল কুমড়ার হালুয়া তৈরির ক্ষেত্রে আপনি ছাগলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন এতে উপকারিতা বেশি পাওয়া যাবে। আর যদি গরুর দুধ ব্যবহার করেন তাহলে এটি রোগ ভালো না করে বরং আপনার রোগ আরো বেড়ে যাবে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতঃ হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যা আমাদের মধ্যে অনেকেই দেখা যায়। হৃদরোগকে মরণঘাতী রোগও ধরা যায়। কারণ বারবার হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের কারণে যেকোনো সময় মৃত্যু হয়ে যেতে পারে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে চালকুমড়া খান এতে আপনার হৃদপিণ্ড ভালো থাকবে। আর চাল কুমড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্ত চলাচল সচল রাখে, রক্ত পরিষ্কার করে। এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে কার্ডিওভাসকুলার অনেক ভালো থাকে। যার ফলে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশই কমে যায়।

শরীরে রক্ত তৈরি করেঃ চাল কুমড়ায় রয়েছে আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে এবং শরীরের রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করবে। আপনার রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে। এবং রক্তে যদি কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেশি থাকে তাহলে আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে, হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়িয়ে শরীরে রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করবে। এবং রক্তনালিকা সচল রাখবে রক্ত পরিষ্কার করে দিবে।

চাল কুমড়ার উপকারিতা জেনে নিন

এতক্ষণ আমরা চাল কুমড়া সকল অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম এবং চাল কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা চাল কুমড়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। তবে চাল কুমড়ার কোন অপকারিতা আছে কিনা এ বিষয়ে যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে আর্টিকেলটি ভালো করে পড়তে হবে। অন্যথায় কিছুই বুঝতে পারবেন না। তাহলে চলুন চাল কুমড়ার অপকারিতা গুলো জেনে নিই।

  • আপনি যদি কচি ও পাকা চালকুমড়া খাওয়ার পরিবর্তে মাঝারি ধরনের চাল কুমড়া খান তাহলে এটি আপনার বুকের মধ্যে কফ জমিয়ে দিবে। তাই চাল কুমড়া খাওয়ার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এবং এর উপকারিতা পেতে হলে নিয়ম অনুযায়ী চাল কুমড়া খাওয়া উচিত।
  • চাল কুমড়ার মধ্যে এক ধরনের তেল থাকে এই তেল শ্লেষ্মা তৈরি করে। তাই এই ধরনের সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য চাল কুমড়া নিয়ম অনুযায়ী এবং সাবধানতার সহিত খাওয়া উচিত

তাছাড়া চাল কুমড়ার মধ্যে তেমন কোন অপকারিতা নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, শরীরকে চাঙ্গা রাখতে, মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে, চাল কুমড়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। এই চাল কুমড়া শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা বেয়ে আনে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চাল কুমড়ার মত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার রাখা।

চাল কুমড়ার মোরব্বা তৈরির পদ্ধতি

চাল কুমড়ার মোরব্বা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। যদি চাল কুমড়ার মোরব্বা নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি, ছড়িতে চাঙ্গা করে তুলে এবং শরীরে শক্তি তৈরি করে। চাল কুমড়ার মোরব্বা তৈরির পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো।

  • প্রথমে একটি পুরনো পাকা ও ভালো চালকুমড়া নিতে হবে। এরপর চাল কুমড়া ছাল ও বীজ ছাড়িয়ে চাল কুমড়া শাঁস গুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে
  • এরপর প্রতিটি টুকরো কাটা দিয়ে বেঁধে নিতে হবে। এবং টুকরো গুলোকে গরম জলে ভালো করে সিদ্ধ করতে হবে।
  • এরপর সিদ্ধ করা টুকরোগুলো থেকে জল ঝরিয়ে কাপড়ের উপর রেখে দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চাল কুমড়ার টুকরোর গায়ে একটুও জল লেগে না থাকে।
  • এরপর চাল কুমড়ার ওজনের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণে চিনি নিতে হবে। এবং চিনি দিয়ে আঠালো সেরা তৈরি করে নিতে হবে। এবং সেরার মধ্যে চাল কুমড়া টুকরো গুলো ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
  • এরপর ফুটানো হয়ে গেলে চাল কুমড়ার টুকরোগুলো বয়োমের ভেতরে সংরক্ষন করে রাখতে হবে। এই ভাবে চাল কুমড়ার মোরব্বা তৈরী করে প্রতিদিনি একটি থেকে দুইটি করে মোরব্বা যদি আপনি খেতে পারেন। তাহলে এটি আপনার শরীরের অনেকে ‍উপকারে আসবে।

চাল কুমড়ার অবহেল তৈরীর পদ্ধতি

চাল কুমড়ার তৈরী অবহেল খাওয়ার উপকারীতা রয়েছে অনেক। কিন্তু অবহেল তৈরীর পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক মানুষেই জানেনা। চাল কুমড়ার তৈরী অবহেল যদি টানা দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত খাওয়া যায়। তাহলে আপনার সর্দি, কাশি, বুক জালাপোড়া করা, দুর্বল হয়ে যাওয়া, জ্বর, বাত ব্যথা এই ধরনের সমস্যাগুলো দুর করে এবং হার্ট ভালো রাখে, শিশুদের  ব্রেন ডেভেলপে সাহায্য করে। এছাড়া আরো অনেক রোগের কাজ করে থাকে। আর চাল কুমড়ার অবহেল তৈরীর পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো।

  • চাল কুমড়ার অবহেল তৈরীর জন্য চাল কুমড়ার খোসা ও বীজ ফেলে দিতে হবে। এরপর চাল কুমড়াগুলোকে একটু বেশি জলে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবং সিদ্ধ টুকরো গুলো থেকে জল নিংড়িয়ে আলাদা করে রেখে দিতে হবে।
  • এরপর চাল কুমড়া গুলোকে খাঁটি ঘিয়ে ভালোভাবে লালচে করে ভেজে নিতে হবে। এবং চালকুমড়ার সমপরিমাণে চিনি নিতে হবে।
  • এরপর শুকনো আদা, ধনে, জিরে, তেজপাতা, ও দারুচিনি গুড়া দিয়ে হালকা আচে ভালো করে নাড়তে হবে।
  •  এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করে একটু বেশি পরিমাণে মধু দিতে হবে। এবং কাচের বয়োমে সংরক্ষন করে রাখতে হবে।

আর এইভাবে চালকুড়ার অবহেল তৈরী করে যদি আপনি প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা এক থেকে দুই চামুচ করে অবহেল খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারীতা বেয়ে আনবে। আপনি চাল কুমড়ার উপকারীতা পাওয়ার জন্য চাল কুমড়ার তৈরী অবহেল, মোরব্বা, পায়েস, লাড্ডু খেয়ে দেখতে পারেন। অথবা অথবা চাল কুমড়া রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন।

বিশেষ কিছু কথাঃ অবহেলে মধু দেওয়ার কারণে অনেক দিন যাবৎ ভালো থাকে অবহেল নষ্ট হয়না। যখন বয়োম থেকে অবহেল বের করবেন তখন শুকনো চামুচ ব্যবহার করতে হবে। লক্ষ রাখবেন অবহেলের সাথে যেন কোনো ভাবেই পানি মিশে না যায়। যদি পানি মিশে যায় তাহলে অবহেল নষ্ট হয়ে যাবে। মনে রাখবেন চাল কুমড়ার সমপারিমানে চিনি নিতে হবে, এবং আদা ও জিরে, পিপুল ১ চামুচ ও তেজপাতা, ধনে, দারচিনি ২ চামুচ পরিমানে নিতে হবে। এবং মধু নিতে হবে ৬ চামুচ পরিমানে। এই ভাবেই আপনি চাল কুমড়া দিয়ে অবহেল তৈরী করতে পারেন।

চার কুমড়ার বীজের উপকারীতা

আমরা সাধারণত অনেকেই চাল কুমড়াকে সুস্বাদু সবজি হিসেবে খেয়ে থাকলেও এর বীজকে খাবারের অজগ্য মনে কের ফেলে দিই। কিন্তু এই চাল কুমড়ার বীজেও  প্রচুর পরিমানে পুষ্টিতে ভরপুর রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। চাল কুমড়ার বীজ শরীরের জন্য এতটাই উপকারী তা না খেলে এর উপকারীতা বোঝা যায়না। চাল কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ক্যালোরি, বীজের সাদা অংশে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার, ফাইবার, ভিটামিন ই, ভিটামনি ডি, ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ পুইশাকের উপকারীতা ও অপকারীতা-পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয়

চাল কুমড়ার বীজ নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার শরীর বাঁচতে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে। চাল কুমড়ার বীজ খেলে হার্ট ভালো থাকে, ফুসফুসের রোগ ভালো হয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে, হৃদপিন্ড ভালো করে, রক্ত চলাচল সচল থাকে, রক্তে জমাট বাধেনা, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হাড় শকাত ও মজবুত করতে সাহায্য করে, স্মৃতি শক্তি দুর্বল হয়ে গেলে তা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘুমের সমস্যা থাকলে তা দুর করে, টেস্টস্টেরল হরমোনের মাত্রা বাড়ায়, শরীরে অতিারক্ত চর্বি জমেনা।

চাল কুমড়ার বীজে খাওয়ার উপকারীতা

যদি অবহেলা করে ফেলে দেওয়া একটি বীজে এ  পরিমানে ভিটামিন ও পুষ্টির উৎস হয়। তাহলে এই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় না রাখলেই নয়। এই চাল কুমড়ার বীজ আপনি ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে রোধে শুকিয়ে গুড়া করে খেতে পারেন। অথবা হালকা আচে ভেজেও খেতে পাবরেন। এতেও উপকারীতা অনেক পাওয়া যায়। যেহেতু এতে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, তাই বেশি পরিমানে খেলে ওজন কমার পরিবর্তে ওজন আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে চাল কুমড়ার বীজ খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। 

প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ টি বীজ খেতে পারেন। এতে উপকার বেশি পাবেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে  যেমন- যদি কারো এলার্জি থাকে তবে তার এলার্জির আরো কারণ হতে পারে, পেট ফাপা এবং পেটে ব্যাথা করতে পারে। তাই চাল কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণ মত খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়ার উপকারীতা

গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়ার অনেক উপকারীতা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টি চাল কুমড়ার বীজ খেলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে পুষ্টি বা ভিটামনের যে ঘাটতি গুলো থাকে তা পুরণ করে দেয়। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্ত উৎপাদন করে। ফলে সন্তান প্রসবের সময় রক্ত ক্ষরণ অতিরিক্ত হলেও রক্ত শূন্যতা দেখা দেয় না। এবং এই বীজ গর্ভবতী মায়ের পেটে থাকা সন্তানের ও বাড়ন্ত শিশুর দেহের পরিপক্বতায় এবং ব্রেনের বিকাশে সাহায্য করে। তাই চাল কুমড়ার বীজ গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন খাওয়া উচিৎ।

আমাদের শেষ কথা

এতক্ষন আমরা এই আর্টিকেলে চাল কুমড়ার বীজের উপকারীতা অপকারীতা চাল কুমড়ার বীজের উপকারীতা এবং গর্ভবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়ার উপকারীতা চাল কুমড়ার মোরব্বা ও অবহেল তৈরীর পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম। তবে আপনার যদি এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ে জেনে নিতে পারবেন। কিন্তু উপকারীতা ও অপকারীতা ও সকল বিষয় জানার জন্য আপনাকে আর্টিকৈলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাহলে উপকারীতা পাবেন আশা করা যায়।

এই আর্টিকেল যদি কোনো ভূল থাকে বা এই বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্স থেকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। পরবর্তীতে আমরা তা সংশোধন করার চেষ্টা করব। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি একটুও উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের শেয়ার করতে পারেন। এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এবং আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url