গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। আপনি কি জানতে চাচ্ছেন গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার গ্রহণে বাচ্চার শরীরের রং ফর্সা হয় বাচ্চা লম্বা হয় এবং বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। তাহলে আপািন ঠিক জায়গাতেই এসেছেন এবং এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো কি খেলে গর্ভের বাচ্চা ফর্সা করা যায় এবং বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। তাই সেই বিষয়টি আপনি যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন এবার আলোচনা শুরু করা যাক।

পেজ সুচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

একটি ভালো সন্তান প্রত্যেক মাবাবারই কাম্য। প্রতিটি মাবাবা একটি ভালো সন্তান আল্লাহর কাছে আশা করে থাকেন। তার সন্তারটি যেন সচ্চরিত্রবান হয় দেখতে ভালো হয় তার গায়ের রং ফর্সা হয় মেধাবী বা বুদ্ধিমান হয় স্বাস্থ্যবান হয় এবং লম্বাচড়া হয়। সন্তান পৃথীবিতে ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই গর্ভাবস্থায় থাকা কালীন সময়ে প্রতিটি মায়ই এই ধরনের আশা করে থাকেন। 

তবে আমি একটি কথা বলে রাখি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ্বীনগত কারণে সন্তানের গায়ের রং সাদা বা কালো হয়ে থাকে। এটি পরীক্ষিত যে, এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে যেগুলো গ্রহণের মাধ্যমে গর্ভবতী ময়ের শরীরে ভিটামিন ও পুষ্টির চাহিদা পুরণের পাশাপাশি তার গর্ভের সন্তানের শারীরিক গঠণে সাহায্য করে এবং গায়ের রং ফর্সা হয়। 

তবে এতক্ষন আপনার মনের ভেতরে নিশ্চয় প্রশ্ন যেগে গিয়েছে যে সেই খাবারগুলো কি কি হতে পারে এবং কি এমন খাবার যেই খাবারগুলো খেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার রং ফর্সা হয় আসলে সেই খাবারগুলো একদম কমন খাবার যেই খাবারগুলো আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি এবং এই খাবারগুলো আমাদের হাতের নাগালেই থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে 

এই খাবারগুলোতে কতটা উপকারিতা বিদ্যামান। আজকে আমি আপনাদের সামনে এরুপ ১০টি খাবার নিয়ে আলোচনা করব যে খাবারগুলো খেলে গর্ভাবস্থাতেই বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ। তাহলে চলুন সেই ১০টি খাবার কি কি তা জেনে নিই।

শশাঃ- আপনি হয়তো শশার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কিন্তু শশা খেলে যে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় তা আপনার নিশ্চয় জানা নেই। শশায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ফাইবার এবয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শশায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ভিটামিন সি বাচ্চার ত্বককে লাবণ্যময় ও

উজ্জ্বল করে থাকে এবং ফাইবার বাচ্চাকে দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে। তাছাড়া শসা শরীরে পাথর গলাতে সাহায্য করে বিশেষ করে যারা কিডনি রোগে আছেন তাদের জন্য শসা অনেক উপকারী নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথর গলে যায় 

কেশোর আলুঃ- কেশর আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, ফাইবার, এবং আরো অনেক ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান যা একটি বাচ্চার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে সেই সাথে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করে। তিই গর্ভাবস্থায় আপনার বাচ্চাকে ফর্সা করতে কেশোর আলুখেতে পারেন। 

প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের সেই সময় শরীরে পানির প্রয়োজন বেশি হয় কারণ, পানি শূন্যতা দেখা দিলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে সে ক্ষেত্রে কেশোর আলুতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি পানি শূন্যতা রোধে সহায়তা করবে।

ডিম খেলেঃ- ডিম হল একটি অতি পরিচিত খাবার এবং ডিম আমরা প্রত্যেকে খেতে ভালোবাসি। তবে সাধারনের তুলনায় গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। ডিমের সাদা অংশ ক্যালসিয়ামের একটি উৎস। গর্ভাবস্থায় ডিম খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং বাচ্চার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায় যার দরুন 

বাচ্চার হাড় শক্ত ও মজবুত হয় তবে ব্রয়লার বা অন্যান্য ডিমের থেকে দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা বেশি পাওয়া যায় তাই চেষ্টা করুন দেশি মুরগির ডিম খেতে।

কাঁচা বাদামঃ- সাধারণত আমরা ভাজা বাদাম খেয়ে থাকি। ভাজা বাদাম খেতে অনেক সুস্বাদু হয় এবং এতে পুষ্টিও পাওয়া যায়। তবে ভাজা বাদামের চাইতে কাঁচা বাদামের ভেতর পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় যদি কোন মা কাঁচা বাদাম নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে তার শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে সেই সাথে গর্ভের বাচ্চার পুষ্টির যোগান দেবে এবং গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করবে আশা করা যায়।

দুধঃ- দুধ একটি পুষ্টিকর খাদ্য শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় সকলেই দুধ খেতে পছন্দ করে আর এই দুধ প্রচুর পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাদ্য। দুধ খেলে শরীরের দুর্বলতা কেটে যায় হাড় শক্ত মজবুত হয় এবং শরীরে সকল ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়ে যায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আর গর্ভাবস্থায় যদি গরুর খাঁটি দুধ নিয়মিত পান করতে পারেন তাহলে 

সেই গর্ভবতী মায়ের জন্য এবং তার গর্ভে থাকা সন্তানের পক্ষে সবথেকে ভালো হবে। দুধে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, আয়রন, জিংক, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ও আরো অনেক পুষ্টিগুণ। এই দুধে প্রায় সকল ভিটামিন বিদ্যামান রয়েছে। এবং গর্ভাবস্থায় প্রতিনিয়ত দুধ খাওয়ার 

ফলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় ব্রেন ডেভেলোপে সাহায্য করে বাচ্চাকে দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে বাচ্চার ওজন বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যবান করে তোলে এই দুধ। যদি একটি খাবারের মধ্যে এতগুলো উপকারিতা পাওয়া যায় তাহলে প্রতিনিয়ত দুধ না খেলেই নয়।

কলাঃ- কলা একটি সহজলভ্য খাবার আর এই কলা আমাদের হাতের নাগালেই থাকে। কলা খেতে আমরা সকলেই ভালোবাসি এমনকি শিশু পর্যন্ত কলা খেতে ভালোবাসে। আর গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার দরুন গর্ভে থাকা শিশুর গায়ের রং ফর্সা হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা।

জামরুলঃ- গর্ভাবস্থায় জামরুল খাওয়ার উপকারিতা অনেক পাওয়া যায়। জামরুল এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় বাচ্চার দেহে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি বাচ্চার চেহারা ও গায়ের রং উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় করে তোলে তাই গর্ভাবস্থায় জামরুল বেশি বেশি খাওয়া উচিত।

টমেটোঃ- টমেটো আমরা সবজি হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকি। তাছাড়া টমেটো বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যেমন টমেটো সালাদ করে, টমেটোর সস করে, অথবা গাছপাকা টমেটো চিবিয়ে খাওয়া যায়। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন থাকার কারণে এটি সূর্যের আলোর ক্ষতিকর রশ্মি বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করে এবং 

ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ সুন্দর ও লাবণ্যময় করে তুলে। আর গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে বাচ্চার গায়ের রংও ব্যাপকভাবে ফর্সা হয়।

মিষ্টি আলুঃ- সেকারগঞ্জ আলু অর্থাৎ আমরা বাংলা ভাষায় বলে থাকি মিষ্টি আলো। এই মিষ্টি আলু যে এতটা উপকারি যা আপনি না খেলে এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন না। এর উপকারিতা বুঝতে হলে নিয়মিত সেকারগঞ্জ আলু খেয়ে দেখুন। বিশেষ করে সাধারণের তুলনায় গর্ভাবস্থায় সেকারগঞ্জ আলু খাওয়ার উপকারিতা পরীক্ষিতভাবে পাওয়া গিয়েছে। 

সেকারগঞ্জ আলুর ভেতরে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টি পাওয়া গিয়েছে যে ভিটামিন ও পুষ্টিগুলো গর্ভবতী মায়ের শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এবং সেকারগঞ্জ আলু খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তানের রোগ প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে কাজ করে এবং বর্ণ ফর্সা করে। তবে আপনি সেকারগঞ্জ আলু কাঁচা চিবিয়ে অথবা সেদ্ধ করে খেতে পারেন।

গাজরঃ- গাজর একটি পুষ্টিকর খাবার গাজর প্রায় সকলে খেতে ভালোবাসে কারণ এটি একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। গাজর বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যেমন তরকারির সঙ্গে রান্না করে গাজরের হালুয়া তৈরি করে অথবা কাঁচা চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অল্প কিছু পরিমাণে হলেও গাজর খাওয়া উচিত। কারণ গাজর খেলে বাচ্চার রং ফর্সা হয়। তাছাড়া গাজর খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ বাড়তে পারে না যার ফলে শরীর শক্তিশালী থাকে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা কালো হবে না ফর্সা হবে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক চিন্তিত থাকি। অথবা অনেকে জানতে চান যে কোন কোন খাবার গুলো খেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার গায়ের রং কালো হতে পারে। কেননা, গায়ের রং কালো নিয়ে সমাজের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভুল ধারণার জন্মে যেমন কালো বর্ণের মানুষকে আমরা সাদা চামড়ার মানুষেরা 

একটু অবহেলা করে থাকি যা একদমই ঠিক নয়। কারণ, আল্লাহ মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরী করেছেন এবং সকল মানুষকে সুন্দর করে নিজ হাতে বানিয়েছেন। তাই মানুষ কালো হোক বা ফর্সা হোক কোনো ভাবেই অবহেলা করা যাবেনা।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়

আর বাচ্চা কালো হওয়া বা ফর্সা হওয়া এটা সম্পূর্ণটাই আল্লাহর হাতে বিদ্যমান। পৃথিবীতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই আমরা এই ধরনের মন্তব্য করে থাকি যে বাচ্চাটি কালো হবে না ফর্সা হবে এই ধরনের মন্তব্য করা আদৌ ঠিক নয়। সন্তান কাল হবে না ফর্সা হবে এটা সম্পূর্ণটাই যেহেতু আল্লাহর হাতে বিদ্যমান সেহেতু আল্লাহ তাআলা যাই দিবেন তাই 

নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তবে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ফরিয়াদ করতে হবে যেন সন্তানটি ভালো হয়। তবে কিছু কিছু কারণে গর্ভাবস্থায় গর্ভের সন্তান কালো হতে পারে যেমন ভ্রুণগত কারণে, আবহাওয়ার জনিত কারণে, হরমোন জনিত কারণে, এবং বাবা-মায়ের খাদ্য অভ্যাসের কারণে সন্তানের গায়ের রং কালো হতে পারে তবে এর সম্পূর্ণটাই আল্লাহর হাতে বিদ্যমান আল্লাহ চাইলে ফর্সা করতে পারেন চাইলে কালো করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

একটি সুস্থ সুন্দর সাবলীল স্বাস্থ্যবান বুদ্ধিমান সন্তান প্রত্যেক মা-বাবা আল্লাহর কাছে কামনা করেন। প্রত্যেক মা-বাবাই চান যেন তার সন্তানটি অনেক বুদ্ধিমান বা মেধাবী হয়। এখন প্রায় শতকরা ৯৯% সন্তানই অনেক বুদ্ধিমান হয়েই জন্ম নেই। আর সন্তানকে বুদ্ধিমান বা মেধাবী করতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। গর্ভাবস্থায় যদি কোনো গর্ভবতী মা 

আরও পড়ুনঃ বেদানার ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতিদিন পরিমাণ মত পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন তাহলে তার গর্ভের সন্তানটি অনেক মেধাবী ও বুদ্ধিমান হবে। আর এই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে দুধ, মধু, বিভিন্ন হলুদ ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি ও আমিষ জাতিয় খাবার হিসেবে মাছ, মাংস, ও ডিম  খেতে পারেন। তবে কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয় বরং, সকল খাবার নিয়ম মত খেতে হবে। 

তবে কোনো খাবার খাওয়ার ফলে যদি কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে তৎক্ষনাত ডাক্তারের স্বরণাপন্য হতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় জেনে নিন

মানব সমাজে এখনও প্রায় অনেক মানুষ আছে যারা গর্ভাবস্থায় তাদের গর্ভের সন্তানটিকে নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকে যে তার গর্ভের সন্তানটি লম্বা হবে না বেটে হবে, মোটা হবে না চিকন হবে, কালো হবে না ফর্সা হবে, মেধাবী হবে না ভেদা টাইপের হবে। আসলে এই সকল বিষয়গুলো নির্ভর করে কিছু বংশ পরম্পরায় প্রকৃতির উপর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যদি 

বংশে এই ধরণের কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে গর্ভের নবাগত সন্তানেরও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে প্রাকৃতিকভাবে আপনার গর্ভের সন্তানটিকে লম্বা করতে চাইলে ভিটামিন বা পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। তবে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে আপনি আপেল খেতে পারেন। কারণ, আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে 

ফাইবার ও পানি যা গর্ভের বাচ্চারকে লম্বা হতে সাহায্য করে। তাছাড়া দুধ, কলা, খেজুর, কাজু বাদাম, খেতে পারেন। এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় গর্ভের বাচ্চাকে লম্বা হতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়

অনেক বাচ্চার জন্মের পরে দেখা যায় মাথায় চুল থাকেনা বা যদিও থাকে তাহলে অনেক কম চুল থাকে। সেক্ষেত্রে চিন্তার কোনো কারণ নেই এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। গর্ভাবস্থায় সন্তার গর্ভে থাকা কালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের কিছু খাদ্যভ্যাসের কারণে  গর্ভাস্থ বাচ্চার এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে সেই সময় যদি গর্ভবতী মা বেশি পরিমাণে

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়

ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং কেরোটিন যুক্ত খাবার  খেতে পারেন তাহলে গর্ভাস্থ বাচ্চার এই ধরনের সমস্যা আশা করি দুর হয়ে যাবে। এবং অনেক ঘন চুল নিয়ে বাচ্চা জন্ম নিবে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার আকার আয়তন শরীরের স্বাভাবিক গঠণ ঠিক থাকাটা অনেক জরুরী। যদি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার দেহের গঠণ ঠিক না থাকে বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টির ঘাটতি থাকে তাহলে সেই শিশুটির এই বসুধায় আগত হওয়ার পর নানা ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয় এবং অনেক শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়েও জন্ম নিতে পারে। 

তাই গর্ভাবস্থায় এবং গর্ভধানের পর বাচ্চাটি যেন সকল দিক থেকে সুস্থ্য থাকে সেজন্য গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ভিটামিন প্রোটিন মিনারেল ও পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে। তবে খাবারের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে যেন কোনো খাবারই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত না হয়ে যায়। কারণ, যদি অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা হয় তাহলে তার শরীরে যেমন বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে 

পাশাপাশি গর্ভের শিশুটিকেও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে গর্ভাবস্থায় খাবারের কিছু নিয়ম আছে যে নিয়মগুলো মেনে চললে গর্ভবতী মায়ের শরীরের ওজন অতিরিক্ত পরিমানে বাড়বেনা এবং গর্ভের বাচ্চার  অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে থাকে অর্থাৎ বাচ্চাটি স্বাভাবিক থাকে।

  • গর্ভধারনের আগে প্রথম তিন মাস অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ বর্জন করতে হবে এবং অল্প পরিমাণে মিনারেলে ভিটামিন ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে সেই সঙ্গে মায়ের এবং বাচ্চার ওজন যেন ঠিক থাকে সেক্ষেত্রে হালকা পরিমানে টকদই ঘি কলা দুধ মধু খাওয়া শুরু করতে হবে।
  • সন্তান প্রসবের আগের দ্বিতীয় তিন মাস যখন গর্ভের বাচ্চাটি বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করতে শুরু করবে তখন গর্ভবতী মাকেও বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে। আর পুষ্টিকর ও প্রোটিনযুক্ত খাবার হিসেবে সামদ্রিক মাছ মাংস মুরগীর ‍ডিম হলুদ ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। কারণ, হলুদ ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন প্রোটিন ও পুষ্টি পাওয়া যায়।
  • আর গর্ভপাতের আগের ৭ম সপ্তাহ থেকে বা পরের সপ্তাহগুলো থেকে আপনার এবং আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য যতটুকু খাবার গ্রহণের প্রয়োজন হবে ঠিক ততটুকুই খাবার গ্রহণ করতে হবে যেন খাবারে কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকে। কারণ, সেই সময় বাচ্চার বেশি বেশি খাদ্যের প্রয়োজন হয়। তবে আমি আবারও বলছি খাবারের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে কোনো খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা তাহলে মায়ের ওজনতো বাড়বেই পাশাপাশি বাচ্চার ওজনও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বেড়ে যাবে এবং পরবর্তীতে বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

আমাদের শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলো খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করা যায়, বাচ্চার মেধাশক্তি বা বুদ্ধি বাড়ানো যায়, বাচ্চাটির ওজন বাড়ানো যায়, বাচ্চাটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান হয়, এই সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে সঠিক তথ্য ‍উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার একটু হলেও উপকারে আসবে। তবে এই আর্টিকেরের মধ্যে যদি কোনো তথ্য 

মিসিং থাকে বা ভূল থাকে তাহলে ভূল মার্জনীয় অথবা নিচের দেওয়া কমেন্ট বক্স থেকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন পরবর্তীতে আমরা তা সংশোধণ করার চেষ্ট করব। যদি এই ধারনের আরও আর্টিকেল এবং নতুন কোনো তথ্য সবার আগে আপনি পেতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে প্রবেশের পর প্রথমে যে পুশ নোটিফিকেশনটি ওপর থেকে নামবে সেখানে 

সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। অথবা ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করে এই নোটিফিকেশনটি অন করতে পারেন। আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url