গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার কারণ ও তার প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন। কনসিভ করলে তলপেট ব্যাথা করে কিনা গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেট ব্যাথা হওয়ার কারণ এবং তার প্রতিকারগুলো কি কি সে বিষয়গুলো আপনি কি জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন।

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন

আজকের আর্টিকেলে আমরা গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যাথা হওয়ার কারণ এবং কি কি উপায় অবলম্বনে ব্যাথা কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করব। অতএব আপনি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি ভালো করে পড়তে থাকুন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

পেজ সুচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন

সাধারণভাবে বলি পেট ব্যথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে আমরা নানাবিধ কারণে পেটের ব্যথায় ভুগতে পারি। সাধারণত পেটের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে যেমন- পেটের ‍উপরিভাগের ব্যথা, পেটের মধ্যভাগের ব্যথা, পেটের ডান দিকের ব্যথা, পেটের বাম দিকের ব্যথা, নাভির নিচের ব্যথা ইত্যাদি। আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা তলপেটের ব্যথা 

কাকে বলে তা বুঝতে পারেনা তাদের ক্ষেত্রে বলি পেটের নাভির নিচে ব্যথা হলে তাকে তলপেটের ব্যথা বলা হয় । আমরা নারী-পুরুষ বিভিন্ন কারণে তলপেটের ব্যথায় ভুগতে পারি এই ব্যথা কিছুক্ষনের জন্য অনুভুত হয় পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। এই ব্যথাকে আমরা সাধারণভাবে ধরলেও অনেক সময় এই ব্যথায় মারাত্মত ক্ষতিকর আকার ধারন করতে পারে। 

তাই পেটের যেকোনো সময় যেই ধরনের ব্যথা হোক না কেন আমরা তা সহজভাবে নেবনা এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি সময়েও তলপেটে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। আর পেটে ব্যথা হলে প্রথমেই বুঝতে হবে এটা পেটের কোন সাইডের ব্যথা পেটের ওপরের ব্যথা না তলপেটের ব্যথা, ডান সাইডের ব্যথা 

না বাম সাইডের ব্যথা। সাধারণত পেটের ডান সাইডে ব্যথা খুব কমই হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেটের বাম সাইডে ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে। আর যদি পেটের ডান সাইডে ব্যথা হয় এবং সেই ব্যথা না কমে পরবর্তীতে তীব্র বা বড় ধরনের ব্যথায় পরিণত হতে থাকে তাহলে আর দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কারণ এতে অ্যাপেন্ডিসাইড হওয়ার লক্ষণ বেশি থাকে। 

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লালশাক খাওয়ার উপকারিতা

আর সঠিক সময়ে অ্যাপেন্ডিক্সের চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর আশংঙ্কা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছৃ নেই সঠিক সময়ে ডাক্তারের স্বরনাপণ্য হলে এবং এর সঠিক চিকিৎসা হলে এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে আমি আবারো বলছি প্রেগন্যান্সি সময়ে হোক বা এমতেই পেটের যেকোনো ধরনের ছোট বড় ব্যথায় হোক না কেন, 

কোনো ক্ষেত্রেই অবহেলা করা যাবেনা। কারণ, আপনার একটৃ অবহেলার কারণে বিভিন্ন ছোটো ছোটো ব্যথাও বড় ধরনের ব্যথায় পরিণত হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে ফলে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর প্রেগন্যান্সি সময়ে অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় যেসব কারণে তা নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

প্রেগন্যান্সি সময়ে প্রথম কয়েক সপ্তাহের সাধারণ ব্যথাঃ যখন শুক্রানু ডিম্বানুতে গিয়ে প্রবশ করে তখন একজন মেয়ে প্রেগনেন্ট অর্থাৎ গর্ভবতী হয়। আর গর্ভবতী হওয়ার কারণে এর প্রথম কয়েক সপ্তাহ পেটে ঘন ঘন ব্যথা হতে থাকে তবে এই ব্যথা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যায়।

প্রেগন্যান্সি সময়ে বাচ্চার সংকোচন ও প্রসারণ জনিত ব্যথাঃ প্রেগন্যান্সির যখন বেশ কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে যায় তখন বাচ্চা পেটের ভেতরে আস্তে আস্তে পুরিপুষ্ট হতে থাকে ফলে বাচ্চার আকার আকৃতি তৈরী হয় যেমন মাথা, মুখমন্ডল, পেট, হাত, পা ইত্যাদি আকৃত পাই। যার কারণে পেটের মধ্যে বাচ্চার বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় এটা অটোমেটিকভাবেই হয়ে যায়। 

আর বাচ্চার পেটের মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার কারণে পেটের যে প্রসারণ ঘটে তার ফলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

প্রেগন্যান্সি সময়ে গ্যাসট্রিকের ব্যথাঃ আমরা সচারচার জানি যে পেটে যখন গ্যাট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় তখন পেটে মারাত্মক ব্যথা হয়। আর এই ব্যথা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন পেটের ওপরের ব্যথা, পেটের বাম দিকের ব্যথা, তলপেটে মারাত্মক ব্যথা। আর প্রেগন্যান্সি সময়ে সঠিকভাবে খাবার দাবার না খাওয়ার ফলে এবং পরিমিত পানি পান না করার কারণে এবং তৈলাক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া বেশি খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাট্রিক তৈরী হয় যায ফলে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা করে।

গর্ভাবস্থায় পেশির সংকোচন জনিত ব্যথাঃ যখন বাচ্চা পেটে আসে তখন শরীরের বিভিন্ন অংশে পেশির সংকোচন ও প্রসারণ ঘটে যার কারণে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় অন্যন্ন কারণে ব্যথাঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে যেমন- প্রসাবের সমস্যা হলে বা প্রসাবের সময় জালাপোড়া করলে, মুত্রনালেীতে পাথর হলে, পেটের মধ্যে বিভিন্ন টিউমার বা টিবি রোগ হলে তলপেটে ব্যথা অনুভূত হয়।

গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন

সাধারণত গর্ভবতী হওয়ার কয়েক সপ্তাহ হলেই অর্থাৎ প্রথম মাস থেকেই পেটে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এই ব্যথা হওয়ার কারণ হচ্ছে, যখন একজন মা গর্ভবতী হয় তখন শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ইউটেরাসের হাড়গুলো সংকোচত এবং প্রসারিত হতে থাকে এবং ভ্রুণ অর্থাৎ বাচ্চাটি যত পরিমানে বড় হতে থাকে ততো পরিমাণে জরায়ুটি চারপাশে চাপ দিতে থাকে অর্থাৎ 

জরায়ুটি বড় হতে থাকে। যার কারণে গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়। আর যদি গর্ভাবস্থায় বাম দিকে কোনো ধরনের ব্যথার অনুভূত হয বা ব্যথা অনুভব করেন তাহলে বুঝতে হবে যে ইউটেরাসের কারণে ডান দিকে যেকোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটছে বিধায় পেটের বাম দিকে ব্যথা হচ্ছে। তবে এই ধরনের ব্যথা গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাস পর্যন্ত হতে পারে।

কনসিভ করলে কি পেটে ব্যথা হয়

কনসিভ করলে পেটে ব্যথা হয় কিনা সে সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে অথবা সেই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন এবার জানা যাক আসলেই কনসিভ করলে পেটে ব্যথা হয় কিনা? যখন একজন মেয়ে প্রথম গর্ভবতী হয় তখন অন্যদের তুলনায় পেটে বেশি পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে

কনসিভ করলে কি পেটে ব্যথা হয়

আসলে সেটা পিরিয়ডের ব্যথা না কনসিভের ব্যথা তা বুঝতে পারেনা। প্রেগন্যান্ট হওয়ার কারণে শারীরিকভাবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয় যেমন বিভিন্ন হরমোন নিসৃঃত হয়, ইউটেরাসের হাড়গুলো প্রসারিত আর এর কারণে পেটে ব্যথা হতে থাকে। এই ব্যথা সাধারণত ডান দিক থেকে বা বাম দিক থেকে হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই 

বাম দিক থেকেই ব্যথা অনুভূত হয়। আর যদি আপনি বুঝতে পারেন যে ডান দিক থেকে ব্যথা হচ্ছে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি কনসিভ করেছেন। এবং প্রথম গর্ভবতী হলে এবং প্রথমবার কনসিভ করলে পেটে বেশি ব্যথা হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই এই ব্যথা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী লাগে কেন

গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী হওয়ার পেছনে তেমন কোনো কারণ নেই। গর্ভাবস্থায় গর্ভের বাচ্চাটি যখন বিভিন্ন আকার আকৃতি পেতে থাকে তখন বাচ্চার ওজন বাড়ে বাচ্চাটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে সেই সাথে পেটও বড় হতে থাকে। আর যেহেতু স্বাভাবিকের তুলনায় পেট বড় হয়ে যায় এবং বাচ্চার আকার আকৃতি পাওয়ার ফলে বাচ্চার ওজন বেড়ে যায় অতএব গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়ার কারণ হলো যখন পেটের মধ্যে বাড়ন্ত বাচ্চাটি পরিপূণ্য আকার পেয়ে যায় তখন জরায়ুর সংকোচন ঘটে এবং পেটের মধ্যে বাচ্চাটির জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় এবং পেট ধীরে ধীরে ছোটো হয়ে আসতে শুরু করে ফলে পেট শক্ত হয়ে যায়। তাছাড়া পেট শক্ত হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে যেমন বিভিন্ন খাবার জনিত 

সমস্যার কারণে পেট শক্ত হয়ে যায়। আবার পেটে অনেকদিন যাবৎ গ্যাসট্রিকের সমস্যা থাকলে বা কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে পেট শক্ত হয়ে যায়। তবে ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই এই সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ।

গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয় কখন

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে বাচ্চাটি পরিপুষ্ট হয়ে হালকা পরিমাণে আকার পাই। এবং পরের তিন মাসে অর্ধেক পরিমাণে আকার আকৃতি পাই। এবং বাকী চার মাসের মধ্যেই পরিপূর্ণ্যভাবে দেহের গঠণ কাঠামো তৈরী হয়ে যায়। যেমন বাচ্চার মাথা, চুল, মুখ, চোখ, কান, হাত, পা ইত্যাদি তৈরী হয় এবং বাচ্চার পরিপূর্ণ্য খাবারের প্রয়োজন পড়ে। এবং বাচ্চাটি এক পর্যায়ে বড় হতে থাকে আর বাচ্চার বড় হওয়ার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় পেট বড় হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ। গর্ভবস্থায় পেটে অনেক কারণে ব্যথা হতে পারে এর অনেকগুলো লক্ষণ পাওয়া যায়। সাধারণত গর্ভাবস্থায় পেটের বাম দিক থেকেই বেশি ব্যথা হয় ডান দিক থেকে খুব কমই ব্যথার লক্ষণ পাওয়া যায়। তবে ডান দিক থেকে তীব্র ব্যথা হলে এতে অ্যাপেন্ডিক্স হওযার লক্ষণ থাকে। আর বাম দিকের ব্যথা গর্ভাবস্থায় প্রায় সময়ই হয়ে থাকে এবং অনেক কারণে বাম সাইডে ব্যথা হতে পারে যেমন- 

আরও পড়ুনঃ গর্ভবস্থায় লাউশাক খাওয়ার উপকারিতা

  • বাচ্চার বৃদ্ধির ফলে পেট প্রসারিত হয় তখন পেট ব্যথা করে
  • অনেক সময় বাচ্চা পেটের ভেতরে নাথি পারে তার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে
  • পেটের ভেতরে বাচ্চা অনেক সময় নড়াচড়া করে সেই কারণেও পেটে বাম সাইডে বা তলপেটে অথবা পেটে ডান সাইডেও ব্যথা হতে পারে
  • গ্যাস বা কশা পায়খানার কারণেও পেটে অনেক সময় পেটে ব্যথা হয়
  • গর্ভবতী হওয়ার কারণে পেটের মধ্যে জরায়ুর ইউটেরাসের হাড়গুলো অনেক সময় প্রসারিত হয় এর ফলে পেটের বাম পাশে ব্যথা হতে পারে 
  • অতিরিক্ত হাঁচি কাশি বা বমি হওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে 
  • পেটে টিউমার বা টিবি বা অন্য কোনো বড় রোগ থাকলেও পেটের বাম সাইডে বা তলপেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে 
  • অনেক সময় প্রসাবের ইনফেকশনের কারণে বা প্রসাবের জালাপোড়ার কারণে বা পেটে পাথর হওয়ার কারণেও ব্যথা হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার জন্য প্রতিকার

এতক্ষন আমরা গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথার নানাবিধ কারণ নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার আমরা আলোচনা করব পেট ব্যথার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা প্রতিকার নিয়ে কিভাবে এই ব্যথার প্রতিকার করা যায়। তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথার জন্য কি কি প্রতিকার রয়েছে তা জেনে নিই।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার জন্য প্রতিকার

  • সাধারণত গর্ভাবস্থায় হালকা ধরনের ব্যথা তেমন কোনো ব্যথা না এটা স্বাভাবিক ব্যথা এই ব্যথা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যায়। তবে যদি তীব্র ধরনের কোনো ব্যথা হয় এবং সেই ব্যথা না কমে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের স্বরণাপন্য হতে হবে অন্যথায় সমস্যা হতে পারে।
  • বিভিন্ন সময় খাবারের অনিয়মের কারণে পেটের মধ্যে বা তলপেটে ব্যথা হতে পারে তাই খাবারের অনিয়ম করা যাবেনা সঠিক সময়ে পরিমান মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখবেন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা ইসলামে হারাম বড় কথা হলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই অতিরিক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। তবেই এই ধরনের সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন আশা করি।
  • প্রতিদিন বেশি বেশি করে পানি পান করতে থাকুন তাহলে আপনার সন্তানের জন্য যেমন ভালো হবে তেমনিভাবে আপনার শরীরে পানি শূণ্যতা হবেনা এবং পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে শারীরিক ব্যায়াম করুন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন গ্যাসট্রিক, কোষ্টকাঠিণ্য, উচ্চরক্তচাপ নিম্নরক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকবে এবং পেট ব্যথার মত সমস্যা দুর হয়ে যাবে। এবং আপনার গর্ভের বাচ্চাটিও সুস্থ্য থাকবে।

লেখকের শেষ কথা

এই আর্টিকেলে এতক্ষন আমরা গর্ভবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার নানবিধ কারণ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন, গর্ভাবস্থায় কি কারণে পেট ভারী ভারী লাগে এবং কখন পেট বড় হয়, কনসিভ করলে তলপেট ব্যথা হরে কিনা এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি ভালোভাবে 

বোঝার জন্য আর্টিকেলটি ভালোকরে পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে। তাহলে আর্টিকেলটি থেকে আপনি উপকারিতা পাবেন আশা করি আর আর্টিকেলটি আপনার একটু হলেও উপকারে আসবে। আর্টিকেলের ভেতরে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার মাঝেও যদি কোনো ধরনের ভূল থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাবেন পরবর্তীতে আমরা তা 

সংশোধণ করার চেষ্ট করব। এই ধরনের আরও আর্টিকেল যদি আপনি সবার আগে পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। সাবস্ক্রাইব করার জন্য ওয়েবসাইটের ডান দিকের বেল বাটনে ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url