যে ৯টি খাবারে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা। আপনি কি ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত সমস্যায় ভুগছেন? আপনার শরীরে কি ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে আপনি যদি ক্যালসিয়ামের অভাব পুরণ করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আজকের আর্টিকেলে এমন ৯টি গুরুত্বপুর্ণ খাবার নিয়ে আলোচনা করা হবে যে খাবারগুলোতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম। এবং খাবারগুলো খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামরে অভাব পূরণ করবে। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
পেজ সুচিপত্রঃউচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম যুক্ত ৯টি খাবার
- ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা
- কোন কোন ফলে ক্যালসিয়াম রয়েছে
- দ্রুত ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়
- ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ গুলো কি কি তা জেনে নিন
- সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার কোনগুলো জেনে নিন
- ক্যালসিয়াম ডি পাওয়া যায় কোন খাবার থেকে
- ক্যালসিয়াম যুক্ত মাছের তালিকা
- শেষ কথা
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ্য সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখতে হলে প্রত্যেকটি ভিটামিনের যেমন প্রয়োজন পড়ে তদরূপ এই উপাদানগুলোর পাশাপাশি ক্যালসিয়ামেরও প্রয়োজন হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ্য মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০-১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পড়ে।
মানবদেহে যদি কোনো ভিটামিন বা পুষ্টির প্রভাব পড়ে তাহলে তার অভাবে মানবদেহ অর্থাৎ আমাদের দেহ নানা রোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে। তেমনিভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকি যেমন- অনিদ্রা, অস্বস্থি, ক্ষুধামন্দা, শরীরে সবসময় জ্বর জ্বর ভাব, অল্প পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়া, মেরুদন্ডের সমস্যা, সকল
আরও পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়
হাঁড়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা অনুভব করা, এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে যে রোগটি আগে দেখা দেই তা হল অস্টিওপেরোসিস অর্থাৎ হাঁড়ের ক্ষয়। এখন চিন্তার বিষয় হল যে কোন কোন খাবারগুলোতে ক্যালসিয়াম বিদ্যামান থাকে এবং তা খাওয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। তাহলে চলুন এবার জেনে নিই ক্যালসিয়াম যু্ক্ত খাবার কোনগুলো।
ডিমের সাদা অংশঃ আমরা প্রায় শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেই ডিম খেতে ভালোবাসি। কিন্তু অনেকেই জানেনা ডিমে যে কত ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে। অনেক আবার ডিমের কুসুম খেতে পছন্দ করে থাকে। তবে সেদ্ধ ডিমের কুসুমের চাইতে সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই আপনি আপনার দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন ডিম খেতে পারেন।
এলোভেরাঃ এলোভেরা হল বহুগুণে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক ভেষজ। বিশেষ করে ক্যালসিয়াম তৈরীর একটি ভালো উৎস। আজকাল এলোভেরা ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ত্বকের যত্নে ব্যবহারের পাশাপাশি যদি খাওয়া যায় তাহলে ত্বককে সুস্থ্য রাখার পাশপাশি দৈনন্দিন দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতিটাও পূরণ হয়ে যাবে।
তবে এলোভেরা আপনি কাঁচা অবস্থাতেও খেতে পারবেন অথবা এর সরবত বানিয়েও খেতে পারবেন। এতে কোনো BAD EFECT নেই।
ঢেড়শঃ ঢেঁড়স একটি সবজি জাতীয় খাদ্য তা আমরা সকলেই জানি। ঢেঁড়সের মধ্যে এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ থাকে সাধারণত এটিই ক্যালসিয়াম তৈরির একটি ভালো উৎস। আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম যে কতটুকু উপকারি তা যতক্ষণ না আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিবে ততক্ষণ আপনি বুঝতে পারবেন না।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লালশাক খাওয়ার উপকারিতা
ক্যালসিয়ামের অভাবে আপনি নানাবিধ সমস্যায় ভুগতে পারেন তাই আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বনে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স যোগ করে ফেলুন
পালংশাকঃ পালং শাকের গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। পালং শাক একটি সুস্বাদু, রুচি সম্মত ও বহু পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, পাওয়া যায়। যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন করে তুলে। বিশেষ করে চোখের সকল রোগ সারাতে সাহায্য করে পালং শাক।
তবে পালং শাকে অনেক ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরে যতটুকু ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পড়ে তা পূরণ করতে সাহায্য করে।
কাজুবাদামঃ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে 20 থেকে ৪০ গ্রাম কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। কেননা কাজুবাদাম অন্যান্য সকল পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে দিতে পারে। তাছাড়া কাজু বাদাম খেলে শরীর শক্তিশালী ও মজবুত হয় শরীরের দুর্বলতা কেটে যায় এবং শরীরের শক্তির হু হু করে বাড়তে থাকে। তাই প্রতিদিন কাজুবাদাম না খেলে নয়
এভোকেডোঃ এভোকেডো একটি ফল যা আমরা অনেকেই চিনি না অথবা চিনে থাকলেও এই ফল আমরা সহজে খাই না। কিন্তু আপনি যদি এভোকেডো ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে এই ফল আপনি কখনোই খেতে ভুলবেন না। এভোকেড একটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল মাত্র কয়েকটি ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যেতে পারে। তাই সব সময় এই ফল আপনার হাতের নাগালে রেখে দিন
বেদানার জুসঃ বেদনার জুস সাধারণত শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তবে বেদনার জুসে ক্যালসিয়াম থাকায় এটি দেহের হাড়ের ক্ষয় রোধে এবং ক্যালসিয়াম তৈরিতে একটি কার্যকারী উপাদান বলা যায়। এক গ্লাস পরিমাণ বেদনার জুসে পরিমাণে অনেক ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
এমনকি শরীরের শক্তি তৈরিতে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচাতে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতেও ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
খেজুরঃ খেজুর সম্পর্কে বলতে গেলে নানা গুণে ভরপুর ভিটামিন মিনারেল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল হল খেজুর। খেজুর হল একটি জান্নাতি ফল কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে খেজুর খেয়েছেন এবং খেজুরের গুনাগুন বর্ণনা করে গিয়েছেন। খেজুরে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে শুধু ক্যালসিয়াম নয় খেজুরে পটাশিয়াম, ফাইবার
আরও পড়ুনঃ বেদানার বিচি খেলে কি হয় জানুন
আয়রন, ভিটামিন এ, ডি, জিংক, ই, কে, ইত্যাদি অনেক উপাদান থাকে। এক পিস খেজুরে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই আপনার দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে খেজুর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
কোন কোন ফলে ক্যালসিয়াম রয়েছে
ক্যালসিয়াম যুক্ত ফলের তালিকায় যে সমস্ত ফলে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় আজকে আমরা তা নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে রয়েছে এভোকেডো, স্ট্রবেরি, আনারস, গাছ পাঁকা পেঁপে, আনার, কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম করমজা ফল, পেঁয়ারা, খোরমা খেজুর, ড্রাগান এবং
কমলা বা লেবু জাতীয় ফল। কারণ লেবু জাতীয় ফলে সাইট্রিক নামক এসিড এবং ভিটামিন সি থাকায় শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরীতে বেশ সাহায্য করে। প্রতি ৫০ গ্রাম লেবুতে ২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। আপনি যদি ক্যালসিয়াম জনিত মারাত্মক সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং আপনার শরীরে যদি ক্যালসিয়াম নামক খনিজের অভাব দেখা দেয় তাহলে আপনি আপনার শরীরে প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে এই ফলগুলো খেতে পারেন।
দ্রুত ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়
ক্যালসিয়াম জনিত রোগীর সংখ্যা যেন আজকাল অধিক হারে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ কি জানেন? এর একমাত্র কারণ হল নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহন না করা। বিপরিতে তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া যা মানবদেহে ক্যালসিয়াম তৈরীতে বাধা প্রদান করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে
অধিক হারে বাড়িয়ে দেই। সাধারণত আপনার শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন জটিল সমস্যায় ভুগতে পারেন। এমনকি এর অভাবে শারীরিক গঠণ বাঁধাগ্রস্থ্য হয়ে পড়ে। তাই আপনি যদি আপনার শরীরে দ্রুত ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে চান তাহলে এর একমাত্র উপায় হল আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার মধ্যে
আরও পড়ুনঃ পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয়
যে সমস্ত খাবারে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম রয়েছে সেই সকল খাবারগুলো রাখুন। এবং ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ গুলো কি কি তা জেনে নিন
সাধারণত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শরীরে নানাবিধ রোগ বাসা বাঁধে। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সী ব্যক্তিরা ক্যালসিয়াম সর্ট জনিত সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীর পুুষ্টিরহীনতায় ভুগে থাকে যার কারণে অন্যন্ন রোগ সৃষ্টির পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের ঘাটিতি দেখা দেয়।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশি বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণগুলো কি কি তা যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।
- ক্যালসিয়ামের অভাবে অস্ট্রিওপেরোসিস অর্থাৎ হাঁড় ক্ষয়ে যায়
- হাঁড় চিকন ও মটমটে হয়ে যাওয়া
- অস্বস্থি ও ক্লান্তবোধ মনে হয়
- হাঁড়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা অনুভত হয়
- শরীর সব সময় জ্বালাপোড়া করা, জ্বর ও খিচুনি ভাব মনে হবে
- ঘুমের পরিমাণ কমে যাবে
- পায়ের হাঁটুর নিচে রস নামা পা ভারি ভারি লাগবে
- অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা ও শরীর সবসময় শুষ্ক থাকা
- হাত ও পায়ের আঙ্গুল ব্যাথায় কনকন করা
- কাজে অমনোযোগী ও ভুলে যাওয়া রোগ সৃষ্টি হবে
সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার কোনগুলো জেনে নিন
আপনি হয়তো জানেনা যে কোন কোন খাবার গুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আমি উপরে বেশ কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করেছি এই খাবারগুলোতেও উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তবে আমি আরও কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করছি যে খাবারগুলোতে আপনি বেশ ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাবেন। যেমন-
সামদ্রিক স্যামন ফিশ, গলদা চিংড়ি, দুগ্ধজাত খাবার, সূর্যমুখী বীজ, সূর্যমুখী বীজ থেকে তৈরী তৈল, সাদা তিল ইত্যাদি এইসব খাবারে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আপনার প্রতিদিনকার ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সক্ষম।
ক্যালসিয়াম ডি পাওয়া যায় কোন খাবার থেকে
এতক্ষণ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে ক্যালসিয়াম সম্পৃক্ত খাবার নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি উপরের অংশগুলো পড়ে ক্যালসিয়ামের সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন। তবে এবার আমরা ক্যালসিয়াম ডি সমৃদ্ধ খাবার নিয়ে আলোচনা করব। মূলত ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি এর অভাবে গলগন্ড রোগ হয়। সাধারণত গ্রামের তুলনায়
শহুরে লোকেদের বেশি ক্যালসিয়াম ডি অর্থাৎ ভিটামিন ডি এর অভাব পরিলক্ষিত হয়। কারণ ভিটামিন ডি তৈরী হয় মূলত সূর্যের আলো থেকে। যেহেতু শহর অঞ্চলের লোকেরা সূর্যালোক থেকে বেশ দুরে থাকে তাই তাদের শরীরে পরিমাণ মত ভিটামিন ডি তৈরী হয়না। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি তৈরীর একটি বড় উৎস। অতএব শরীরে ভিটামিন ডি তৈরীতে প্রতিদিন
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল ও সবজি খাওয়া যাবেনা জেনে নিন
কমসেকম ১ থেকে ১.১/২ (দেড়) ঘন্টা মত সকালের সূর্যের আলো পোহানো উচিৎ। তাছাড়া এমনও অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো গ্রহণের মাধ্যমেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেমন- বাদাম, দই, টক দই, পনির,কাঁচা ছোলা, ছানা ইত্যাদি।
ক্যালসিয়াম যুক্ত মাছের তালিকা
আমরা ছোট বড় সকলেই মাছ খেতে ভালোবাসি তাই আমাদেরকে বলা হয় মাছে ভাতে বাঙ্গালী। আমরা শুধু মাছ খাই কিন্তু অনেকেই জানিনা যে কোনে কোন মাছে ক্যালসিয়াম ভরপুর থাকে। ক্যালসিয়াম যুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে সামদ্রিক স্যামন ফিশ, গলদা চিংড়ি. সংকর মাছ, অনেক কাঁটা যুক্ত ছোট ছোট মাছ, বোয়াল মাছ। এছাড়াও মাছের হাঁড়েও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা বাহুল্য যে দৈনন্দিন জীবনে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কোনো বিকল্প নেই। তবে বিভিন্ন ডাক্তারগণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে ক্যালসিয়াম যুক্ত ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ধরনের ট্যাবলেটের মধ্যে ব্যাড সাইড ইফেক্ট থাকতে পারে। কিন্তু শাক-সবজি বা ফলমূলে কোনো ব্যাড সাইড ইফেক্ট নেই তাই
এগুলো অনায়াসেই খাওয়া যায় আশা করি আপনি আমার কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর এই ধরনের আরও জ্ঞানমূলক আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করতে পারেন। এতক্ষন এই আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য আপনাকে একান্তই ধন্যবাদ
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url