ভাতের মাড়ের কয়েকটি বিশেষ ক্ষতিকর দিক - ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম
ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন এবং ভাতের মাড় খেলে কোন উপকারিতা পাওয়া যায় কিনা ও ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
এই আর্টিকেলে আমরা ভাতের মাড় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব তবে আপনি যদি ভাতের মাড় সম্পর্কে অনবগত থাকেন অথবা মাড় সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
আপনি যে অংশ থেকে শুরু করতে চাচ্ছেন
- ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
- ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা
- ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম
- ভাতের মাড় দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি
- গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা
- ভাতের মাড়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন
- শেষ কথাঃ ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
- সচারচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর
ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু জানেন না যে অতিরিক্ত পরিমাণে ভাতের মাড় খেলে শরীর কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন পেটের ক্ষুধা নিবারণে ভাত খেয়ে থাকি। আর বাঙালির যেন ভাত ছাড়া অন্য খাবার খেয়ে পেটই ভরে না।
তাই বাঙালির প্রধান খাদ্য হলো ভাত। তবে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা ভাত খাওয়ার পাশাপাশি ভাতের মাড়ও খেতে ভালোবাসেন। ভাতের মাড় শরীরকে শক্তিশালী করতে একটি অন্যতম রেমেডি বলা যায়। তবে প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনিভাবে কিছু খারাপ দিকও থাকে।
আরও পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দ্রুত নিরাময় করতে গুরুত্বপুর্ণ ৭টি খাবার
আর খারাপ দিকটা তখনি লক্ষ্য করা যায় যখন আমরা কোন খাবার নিয়ম অনুযায়ী না খাই। তদরূপ ভাতের মাড়ের মধ্যে বহুগুণে উপকারিতা থাকলেও আপনি যদি নিয়মের বাইরে মাড় খান তাহলে এর কিছু (Bad Side Effect) অর্থৎ অপকারিতা আপনার শরীরে কয়েকটি বিশেষ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে আপনার যদি এ বিষয়ে
কোন ধারণা না থাকে বা জানতে চান যে ভাতের মাড়ের মধ্যে কি পরিমাণে উপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক থাকে তাহলে আমি আপনার ধারণাকে নিখুঁত করার জন্য এই আর্টিকেলে ভাতের মাড় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন এবার জেনে নিই অতিরিক্ত পরিমাণে ভাতের মাড় খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে।
প্রথমত ওজন বাড়িয়ে দেইঃ আপনার যদি দেহের ওজন ঠিক থাকে বা আর ওজন বাড়াতে না চান এবং নিয়মিত আপনি যদি ভাতের মাড় খেয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই ভাতের মাড় খাওয়া বন্ধ করে দিন। কেননা ভাতের মাড় খেলে আপনার দেহের ওজন আরও বেড়ে যাবে ফলে অতিরিক্ত ওজনের কারণে আপনি নানাবিধ সমস্যায় ভুগতে পারেন।
বদহজমের ক্ষেত্রেঃ আপনি যদি প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ভাতের মাড় খেয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রে আপনার হজম ক্ষমতা কমে যাবে এবং বদহজমের সমস্যা বেড়ে যাবে। কারণ ভাতের মাড় অনেক ভারি একটি খাবার যা আস্তে আস্তে হজম হয়। আর বদহজম থেকে পেটে গ্যাসট্রিক তৈরী হতে পারে। তাই এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি পাইঃ আপনার চোঁখে যদি ঘুমের পরিমাণ বেশি থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বেশি বেশি পিচ অর্থাৎ ভাতের মাড় খাওয়া থেকে দুরে থাকুন। কেননা ভাতের মাড় খেলে ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়।
ডায়রিয়ার সমস্যাঃ ভাতের মাড় যেমন ডায়রিয়ার সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে তেমনিভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে ভাতের মাড় খাবার ফলে পেটে গরহজমি হতে পারে যার ফলে কয়েকবার পাতলা পায়খানা থেকে শুরু করে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ পানি শূন্যতায় ভুগতে পারে এর ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাঁড়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুনঃ লালশাকের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ায়ঃ অতিরিক্ত পরিমাণে ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় এতে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত মাড় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়ার কয়েকটি বিশেষ ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করলাম। তবে এবার আমরা ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করব। আসলে ভাতের মাড় এমন এক প্রকার পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্য যার পুষ্টিপুণ সম্পর্কে আমরা জানিনা আর না জানার কারণে
ভাত রান্নার পর ভাতের মাড়গুলো আমরা ফেলে দিই। কিন্ত সকলেই যদি এর পুষ্টি সম্পর্কে জানতো তাহলে কখনই ভাতের মাড় ফেলে দিতেননা। শহুরে সমাজেতো ভাতের মাড়কে অতিরিক্ত বর্জ্য বলে ফেলে দেই কিন্তু গ্রামীন অঞ্চলে ভাতের মাড় খাওয়ার ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়। কিন্তু আধুনিক পর্যায়ে এসে ভাতের মাড় প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে মানুষ আধুনিকতার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে এবং আরাম-আঁয়েশপূর্ণ্য জীবনযাপন
আরও পড়ুনঃ পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয় - বিস্তারিত জেনে নিন
ও সময় বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে ভাত রান্না করছে ফলে ভাতের মধ্যে কোন প্রকার মাড় থাকেনা। তবে যারা পুরোনো মানুষ আছেন তারা মাড়ের উপকারিতা জানেন এবং ভাত রান্নার পর মাড় ফেলে দেননা প্রতিদিন অন্ততপক্ষে এক গ্লাস পরিমাণ গ্রহণ করেন। এক গ্লাস মাড় খেলে শরীরে ৮ ধরনের অ্যামাইনো এসিড তৈরী হয় যা পেশি গঠনেও বেশ সাহায্য করে। ভাতের মাড়ে রয়েছে
- আপনি যদি অনেক রোগা পাতলা ও হ্যাংলা টাইপের হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন খাবার খেয়েও যদি শরীরকে মোটাতাজা ও শরীরের ওজন বাড়াতে না পারেন তাহলে আজ থেকেই অন্তত এক গ্লাস পরিমাণ ভাতের মাড় খাওয়া শুরু করুন ফলাফল আরো দ্রুত পেতে এর সঙ্গে সামান্য ঘি যোগ করুন। এবং বেশ কিছুদিন যাবৎ নিয়ম মেনে খেতে থাকুন। এক সময় দেখবেন আপনার শরীরের ওজন আস্তে আস্তে বাড়া শুরু করে দিয়েছে।
- আপনার যদি স্মৃতিশক্তি তুলনামুলক কম হয় এবং অল্পতেই যেকোন বিষয়ে ভুলে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে ভাতের মাড় খেতে পারেন কারণ ভাতের মাড় স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ব্যাপক সাহায্য করে
- মাথা থেকে যদি চুল ঝরে পড়ে যায় বা ভেঙ্গে যায় এবং মাথায় যদি খুশকি থাকে তাহলে আপনি ভাতের মাড় খান এবং মাথায় মাখুন। কারণ এই ধরনের সমস্যা ভিটামিন ই এর কারণে হয়ে থাকে। আর ভাতের মাড়ে ভিটামিন ই রয়েছে যা চুলের গোড়ায় পুষ্টির যোগান দিবে। যার ফলে আপনি এইসকল সমস্যা থেকেতো মুক্তি পাবেনই অন্যথায় চুলকে অনেক কালো শক্তমজবুত ও সিল্কি দেখাবে।
- আপনি যদি ক্যালসিয়াম জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং ক্যালসিয়ামের অভাব দুর করতে চান সেক্ষেত্রে ভাতের মাড় খান, কেননা ভাতের মাড়ে অনেক ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
- যদি ঘুমের সমস্যা থাকে নিঃসন্দেহে মাড় খান। ভাতের মাড় ঘুম বাড়াতে ব্যাপক হারে সাহায্য করে।
- ভাতের মাড়ে থাকে আট প্রকার অ্যামাইনো এসিড যা পেশি গঠনের মাধ্যমে শরীরকে শক্তিশালী ও মোটাতাজা করে তোলে।
- ভাতের মাড়ে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরে এনার্জীর মাত্রা বাড়িয়ে শরীরকে শক্তিশালী করে অনেকক্ষণ যাবৎ কাজ করার ক্ষমতা যোগায়।
- ভাতের মাড়ে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি সিস্টেম ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকে ব্রণ হওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই নিমিষেই ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে ভাতের মাড় খেতে পারেন অথবা তোকে লাগাতে পারে।
- ত্বক ফর্সা করতে ভাতের মাড় বেশ কার্যকারী একটি রেমেডি। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো ভাতের মাড় চাউলের আটা এবং গরুর কাঁচা দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে মাখলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই ত্বক ফর্সা হয়। ফলাফল আরো বেশি পেতে এর সাথে সামান্য পরিমাণে কর্পূর যোগ করতে পারেন।
ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম
ভাতের মাড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা শুধু এটা মনে করি যে যেকোনো ভাবে খেয়ে নিলেই হয়ে যায় আসলে তা নয়। বরং যেকোন খাদ্য খাওয়া আগে খাবারের নিয়ম কানুন মেনে খাওয়া উচিত কারণ নিয়ম অনুযায়ী না খাওয়ার কারণে সে খাবার গ্রহণের পর আমরা অনেক সমস্যায় জর্জরিত পড়ি।
আরও পড়ুনঃ লাউশাকের ১৩টি কার্যকরী উপকারিতা ও উপকারিতা
বিশেষ করে পেট ফাঁপা পেট ফোলা কোষ্ঠকাঠিন্য ও আরো নানাবিধ জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যা আমাদের শরীরের জন্য মোটেই সুবিধাজন হয়। আর প্রত্যেকটি খাবারের যেমন নিয়ম আছে তেমনি ভাবে ভাতের মাড় খাওয়ারও কিছু নিয়ম আছে যেমন-
- প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১.১/২(দেড়) থেকে দুই গ্লাস পরিমাণ মাড় খাওয়া উচিত
- একেবারে ঠান্ডা এবং গরম নয় শুধু হালকা কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় ভাতের মাড় খাওয়া উচিত এতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
- ভাতের মাড় দিয়ে স্যুপ তৈরি করেও খেতে পারেন
- ভাতের সঙ্গে মাড় মিশিয়ে খাওয়া যায় আমরা যাকে মাড়ি ভাত বলি বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের জন্য এই মাড়িভাত অনেক উপকারী।
ভাতের মাড় দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি
ভাতের মাড় দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরির বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আসলেই কি ভাতের মাড় দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। আমি বলব জি হ্যাঁ ভাতের মাড় দিয়েও ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। এর জন্য প্রথমে আপনাকে ১.১/২ থেকে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ ভাতের মাড় নিতে হবে এবং ১ টেবিল চামচ পরিমাণ মধু সেইসঙ্গে এক চামচ পরিমাণ চাউলের আটা ও
এর সঙ্গে ১ চিমটি কর্পূর মিশিয়ে ভালোভাবে ফ্যাট করুন। ফ্যাট করার পর ত্বকে ব্যবহার করুন এবং বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ রেখে দিন কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। আর এভাবে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক আগের তুলনায় অনেক ফর্সা ও মসৃণ হয়ে উঠবে আশাকরি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। আগেকার সময়ে মায়েরা গর্ভকালীন অবস্থায় নিয়মিত ভাতের মাড় খেতেন ফলে মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ থাকতো। ভাতের মাড়ে ক্যালসিয়াম থাকায় শিশুর হাড়ের বিকাশে সাহায্য করে যার ফলে শিশুর শারীরিক গঠন ব্যাহত হয় না। এছাড়াও শিশুর ব্রেনের বিকাশ ঠিক রাখে এবং শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
ভাতের মাড়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন
আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি যে ভাতের মাড়ে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে প্রিয় পাঠক ভাতের মাড়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে গুরুত্বের সহিত পড়তে হবে তাহলেই আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরগুলি পেয়ে যাবেন আশা করি তো চলুন জেনে নিই ভাতের মাড়ের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে।
ক্রমিক নং | পুষ্টিগুণ |
---|---|
১ | ক্যালসিয়াম |
২ | আয়রন |
৩ | ফাইবার |
৪ | জিংক |
৫ | কপার |
৬ | লৌহ |
৭ | ফসফরাস |
৮ | আয়োডিন |
৯ | নায়াসিন |
১০ | ম্যাঙ্গানিজ |
১১ | মেলেনিয়াম |
১২ | ভিটামিন ই |
১৩ | ভিটামিন বি |
১৪ | ভিটামিন বি১ |
১৫ | ভিটামিন বি২ |
১৬ | ভিটামিন বি৩ |
১৭ | ভিটামিন বি৪ |
১৮ | ভিটামিন বি১১ |
শেষ কথাঃ ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
শেষ কথাই একটি বিষয় আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চায় যে প্রতিটি খাদ্যের মধ্যে ভালো এবং খারাপ দুই দিকই বিদ্যমান থাকে। আপনি যদি খাবারের নিয়ম কানুন মেনে তা গ্রহণ করেন তাহলে তা আপনার জন্য ভালো দিক বহন করবে আর যদি নিয়ম না মেনে খাবার গ্রহণ করেন তাহলে সেটা আপনার জন্য
খারাপ দিক বহন করবে। তাই চেষ্টা করবেন কোন খাবার যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায় এবং খাবারের অনিয়ম হয়। আমার নাম মোঃ শামসুল হক আমি পেশায় একজন ব্লগার আর এই ধরনের সেবামূলক ব্লক পোস্ট করে এবং আপনাদের পাশে থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
এই ধরনের আরো তথ্য পেতে আমার এই www.Greenlanit.Com ওয়েবসাইটটি আপনি ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ আবার দেখা হবে কোন একটা নতুন আর্টিকেলের মাধ্যমে
সচারচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ ভাতের মাড় খেলে কি মোটা যায়?
উত্তরঃ ভারতের মাড় খেলে মোটা হওয়া যায় কিনা এই বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলি ভাতের মাড় খেলে মোটা হওয়া যায় ভাতের মাড় একটি শক্তিশালী খাদ্য যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু ভাতের মাড় খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রতিটি খাবারের পরিমাণ আছে পরিমাণ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে এক্ষেত্রে প্রতিদিন মাড় খাওয়ারও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে সেই পরিমাণ অনুযায়ী মাড় খেতে হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ গ্লাস পরিমাণ মাড় খাওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ মাড় ভাত খাওয়া কি ক্ষতিকর?
উত্তরঃ ভাত এবং মাড় একসঙ্গে খেলে কোন ক্ষতি হয় না। মাড় ও ভাত একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় যাকে আমরা মাড়ি ভাত বলে থাকি এটা অনেক উপকারী একটি খাবার তাই মাড়ি ভাত একসঙ্গে খেলে কোন ক্ষতি হয় না।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় খাওয়া কি ভালো?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় খাওয়া অনেক ভালো এতে কোন ব্যাড সাইড ইফেক্ট নেই যদি তা পরিমাণ মতো গ্রহণ করা হয়। গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় খেলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শিশুর পুষ্টির কোন ঘাটতি থাকে না ফলে শিশু সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে।
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url