চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, কারণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
চোখ উঠলে করণীয় কি, কি কারণে চোখ উঠে, চোখ উঠা রোগের লক্ষণগুলো কি কি এবং কিভাবে আপনি চোখ উঠা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন সে সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি একমাত্র আপনার জন্য।
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমরা চোখ উঠা রোগের লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব তবে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
সুচিপত্রঃ
- চোখ উঠলে করণীয় কি
- চোখ উঠা রোগের লক্ষণগুলো জেনে নিন
- চোখ ওঠা রোগের কারণ কি
- চোখ উঠা রোগের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা
- বাচ্চাদের চোখ উঠলে কি করবেন জেনে নিন
- চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
- শেষ কথা
চোখ উঠলে করণীয় কি
মানব শরীরের একটি অমুল্য সম্পদ হল চোখ। চোখের মূল্য সেই বোঝে যার চোখ নেই। চোখ উঠাকে বিজ্ঞানের ভাষায় কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। এই চোখকে সুস্থ্য রাখতে আমাদের শরীরের অন্যন্ন অঙ্গের পাশাপাশি চোখের যত্ন নেওয়া একান্তই জরুরী। একটু অবহেলার কারণে আপনি ভূগতে পারেন চোখের নানাবিধ সমস্যায়।
আজকাল চোখ উঠা রোগ যেন ব্যাপক হারে বেড়েই চলেছে এবং অনেক মানুষ আক্রমনের শীকার হচ্ছে। কারণ এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ যা একজনের শরীর থেকে অন্ন জনের শরীরে পার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চোখ উঠা রোগের লক্ষণ দেখা দিলে এবং তৎক্ষনাত বুঝতে পারলে ঘরোয়া যেসব উপায় রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করতে পারেন অথবা
আরো পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দ্রুত নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি খাবার
নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কালো সানগ্লাস চোখে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। এখন প্রশ্ন হল কি কি লক্ষণ দেখা গেলে আমি বুঝব যে আমার চোখ উঠবে? তাহলে চলুন এবার চোখ উঠা রোগের লক্ষণগুলো কি কি তা জানি।
চোখ উঠা রোগের লক্ষণগুলো জেনে নিন
সাধারণত চোখ উঠা রোগ সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা খুব সহজেই এই রোগের সম্মূখীন হয়ে পড়ি যা অনেক অস্বস্থ্যিকর ও যন্ত্রনাদ্বায়ক একটি ব্যাপার। চোখ উঠা রোগ এবং রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানা প্রত্যেকের জন্যই জরুরী। কারণ এই রোগ সম্পর্কে যদি জ্ঞান থাকে তবে এই রোগের লক্ষণগুলো শরীরে প্রকাশ পাওয়া মাত্র সতর্ক হয়ে গেলে চোখ উঠা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চোখ ওঠা রোগের লক্ষণগুলো নিচে দেওয়া হল-
- প্রথমত চোখের মনির পুরো পাশের সাদা অংশ লাল টকটকে হয়ে যাওয়া
- চোখের পাতা ফুলে মোটা হয়ে যায় এবং চোখে অসহ্য যন্ত্রণা করে
- চোখের কোনা দিয়ে ঘন ঘন ময়লা বের হতে থাকে এবং চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে
- চোখ জ্বালাপোড়া করতে থাকে
- চোখের চুলকানি অনেক বেড়ে যায়
- আক্রমণ বেশি হয়ে গেলে চোখে কোন কিছু দেখতে ঝাঁপসা ঝাঁপসা লাগে
- প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা করতে থাকে
- নাক দিয়ে সর্দি পড়তে থাকে
চোখ ওঠা রোগের কারণ কি
অনেক সময় আমরা ধুলাবালি ও রাবিশ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করে থাকি এবং নাক মুখ ও চোখের মধ্যে বাতাসের সাথে উড়ে উড়ে ঢুকতে থাকে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার ফলে চোখে যে ময়লা পড়ে তা সঠিক সময় পরিষ্কার না করার কারণে একসময় চোখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে যায় যার কারণে চোখ ওঠে।
আবার অনেকের চোখের মধ্যে এলার্জি বা চুলকানি জনিত সমস্যা থাকে এই চুলকানির কারণেও চোখ উঠতে পারে। অনেক সময় ভাইরাসের আক্রমণের কারণেও চোখ উঠতে পারে কিংবা কোন পশু পাখির লোম বা অপরিষ্কার কোন কিছু চোখে পড়ার কারণে চোখে এলার্জি হতে পারে এবং এই এলার্জি থেকে চোখ উঠতে পারে। অপরিষ্কার নোংরা ও
পঁচা পানিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে গোসল বা সাঁতার কাটার কারণে চোখে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আক্রমণ করে যার ফলে চোখ উঠতে পারে। আবার স্ট্যাফাইলোকক্কাস ও স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেযও চোখ ওঠে। এছাড়াও প্রাকৃতিক নানাবিধ আরো অনেক কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে সাধারণত চোখ ওঠে। তবে আমরা যদি প্রতিনিয়ত
আমাদের চোখের যত্ন নিতে থাকি তাহলে শুধু চোখ উঠা নয় বরং চোখের যে কোন রোগের আক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
চোখ উঠা রোগের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা
এই আর্টিকেলে এতক্ষন আমরা চোখ উঠা রোগের কিছু লক্ষণ ও কারণ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তবে এখন আমরা এই রোগের জন্য কি কি ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে বা কোন পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে চোখ উঠা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা করব। কিন্তু আলোচনার শুরুতেই কিছু কথা বলতে চাই।
দেখুন, কোনো রোগকেই ছোট করে দেখা উচিৎ নয়। কারণ একটি ছোট রোগ থেকেই কিন্তু অনেক বড় বড় রোগের সৃষ্টি হয়। আসলে চোখ উঠা রোগ তেমন কোন মারাত্মক রোগ নয় যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই রোগের চিকিৎসা হয়ে যায়। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না হলে আপনার চোখ অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
তাই চোখ উঠলে ঘরে বসেই কোন কোন ঘরোয়া টোটকা দ্বারা এই রেগ ভালো হয় এবং পরবর্তীতে কোন কোন সতর্কতাবলী মেনে চললে এই ধরনের রোগ হবেনা তা নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হল-
ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
- চোখ উঠলে চোখের সাদা অংশ লাল বর্নের আকার ধারণ করে চোখ দিয়ে পানি ঝরে, এবং চোখের কোনা দিয়ে আঠালো ময়লা বের হতে থাকে সেগুলোকে দ্রুত টিস্যু অথবা পরিষ্কার কোনো কাপড় দিয়ে ঘন ঘন মুছে নিতে হবে।
- আপনার হতে যেন কোনো ধরনের ময়লা আবর্জনা,ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু লেগে না থাকে সেজন্য সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কারণ ময়লাযুক্ত বা অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ মুছলে তাতে লেগে থাকা জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়া চোখে পার হয়ে গেলে আপনার চোখ আরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে।
- একমুঠো পরিষ্কার কাঁচা নিমের পাতা এবং সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চোখে সেত দিলে খুব তাড়াতাড়ি এই রোগ ভালো হয়ে যায়। যেহেতু ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে চোখ উঠে, তাই এইভাবে সেত দিলে চোখের মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়াগুলো মরে যায়।
- এর সময়সীমা মূলত ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত থাকে তাই এই সময়টা বাইরে বেশি ঘোরাফেরা না করে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকুন।
- চোখ উঠলে বা এর লক্ষণ বুঝতে পারলে সবসময় চোখে কালো রঙ্গের চশমা দিয়ে থাকুন। কারণ অনেক মানুষ আছে যাদের চোখে এক ধরনের কুনজর থাকে যা আপনার চোখের আরো ক্ষতিসাধন করতে পারে। এছাড়াও চশমা ময়লা ও ধুলাবালির থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখে।
- এই ধরনের ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বনের পাশাপাশি চোখে ভালো কোন আই ড্রপ ব্যবহার করতে থাকুন।
- এরপরেও যদি ভালো না হয় তাহলে আর এক মুহূর্ত দেরি না করে অতি দ্রুত রেজিস্ট্রারকৃত চোখের কোন ভালো ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিন এবং সে অনুযায়ী ওষুধ খান এতে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশা-আল্লাহ আশা করি।
সতর্কতাবলীঃ
- ময়লাযুক্ত এবং ধুলাবালি বেশি উড়ে এরূপ স্থানে কাজ করলে অবশ্যই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন কোন ধরনের ময়লা বা ধুলাবালি আপনার চোখের ভেতরে না পড়ে। এর জন্য কাজ করার সময় চশমা ব্যবহার করতে পারেন।
- কয়েক ঘন্টা পর পর পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ মুখ ভালো করে ধুয়ে নিলে চোখের মধ্যে থাকা ময়লা বের হয়ে যায় যার ফলে চোখ অনেকটা সুস্থ থাকে এবং চোখ ওঠা রোগের হাত থেকে বাঁচা যায়।
- কখনোই চোখে অপরিষ্কার হাত দিবেন না কেননা তাতে রোগ জীবাণু থাকতে পারে এবং চোখের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। যার দরুন চোখ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে চোখ উঠতে পারে। তবে এই সর্তকতাটি মেনে চললে আপনি চোখ উঠা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন আশা করি।
বাচ্চাদের চোখ উঠলে কি করবেন জেনে নিন
সাধারণত চোখ যে কোন বয়সে উডঠতে পারে এর জন্য কোন ধরা বাধা সময় নেই। স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন না হওয়ার কারণে এবং ধুলাবালি ও ময়লা চোখে প্রবেশ করার কারণে চোখের মধ্যে জীবাণু তৈরি হয় এক পর্যায়ে চোখ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে চোখ লাল হয়ে যায় চোখের পাতা খুলে যায় চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং
চোখের কোনায় ময়লা জমতে থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে কনজাংটিভাইটিস অর্থাৎ বাংলায় আমরা যাকে চোখ ওঠা বলে থাকি। তবে শিশুদের চোখ উঠলে কি করবেন এবং কি করা যাবে না তা নিচে দেওয়া হল-
- শিশুর চোখ উঠলে চোখের কোনে জমতে থাকা ময়লা মুছে ফেলুন
- লক্ষ্য রাখবেন শিশুর চোখ মোছার সময় পরিষ্কার ও একদম নরম কাপড় দিয়ে যেন চোখ মোছা হয়
- শিশুর চোখ উঠলে কোনভাবেই ঠান্ডা পানি চোখে দেওয়া যাবে না এতে চোখের আরো ক্ষতি হতে পারে।
- শিশুর চোখ উঠলে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল আই প্রটেকশন যেকোনো ধরনের ভালো ড্রপ ব্যবহার করুন
- চোখের কোনে কাজল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
- চোখে গরম পানির ভাপ দিয়ে সেত দিন এতে চোখের অনেকটা উপকার হবে
- পাশাপাশি একটি ভালো ডাক্তারের স্বরণাপন্ন হন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে চিকিৎসা দিন।
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবেনা আসলে এটি একটি জানার বিষয়। সব সময় ভাইরাল ইনফেকশন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বা ধুলাবালির কারণেই চোখ ওঠে না অনেক সময় এলার্জি বা চুলকানির কারণেও চোখ উঠে। তাই চোখ উঠলে অ্যালার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে তাদের বেশি সতর্ক হতে হবে যাদের চোখে এলার্জির সমস্যা রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলি? তাই না। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এনার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলি এবং চোখ উঠলে কোন খাবার গুলি খাওয়া যাবেনা। চোখ উঠলে মিষ্টি কুমড়া, শিম, বেগুন, পুঁইশাক, ছোট বড় যে কোন চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, পুটি মাছ, খৈলশা মাছ, রাজহাঁসের মাংস, পাতিহাঁসের মাংস, গরুর মাংস, মসুর ডাল, এবং
খেসারি ডাল, কলাইয়ের ডাল, যেকোনো ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্য, প্যাকেটজাত খাদ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্রিজারভেটিভ যুক্ত খাদ্য, ফরমালিনযুক্ত ফল, কৌটা জাত খাদ্য ইত্যাদি এই ধরনের খাবারগুলি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই খাবারগুলি চোখের প্রদাহকে পরিমাণে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে যার ফলে আপনাকে ভোগ করতে হতে পারে যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট। তাই চোখ উঠলে এই ধরনের খাবার গুলো থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।
শেষ কথাঃচোখ উঠলে করণীয় কি
পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়, চোখ ওঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই চোখ উঠলে বাইরে ঘোরাফেরা না করে অবশ্যই বাড়িতে থাকতে হবে এবং কিছু সময়ের জন্য বাইরে বের হলে চোখে কালো চশমা পড়তে হবে। যেহেতু এই রোগটি একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই এটি যে কোন সময় আপনার শরীর থেকে অন্যের শরীরে প্রবেশ করে তাকেও আপনার মত আক্রান্ত করে দিতে পারে।
সেজন্য অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখবেন এবং ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বনের পাশাপাশি রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আমি মোঃ শামসুল হক পেশায় একজন ব্লগার এই ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য মুলক ও আরো অনেক তথ্যমূলক ব্লগ লিখে মানুষদের সেবা দিয়ে থাকি। তাই এই পোষ্টের মধ্যে যদি কোন ধরনের তথ্য মিসটেক হয়ে থাকে বা
ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই ভুল মার্জনীয় এবং পোস্ট সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রশ্ন থাকলে এই পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
গ্রীনল্যান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url